আর্থিক প্রতারণায় ধৃত বাংলাদেশের পুলিশ আধিকারিক সোহেল রানার সঙ্গে যোগাযোগ করতে ভারতে এসে ধৃত সেদেশের আরও এক নাগরিক। শুক্রবার মহম্মদ বাহারুল নামে ওই ব্যক্তি শিলিগুড়ির একটি হোটেলে ছিলেন। শুক্রবার সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সম্প্রতি চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত থেকে গ্রেফতার হন ঢাকার বনানী থানার আইসি সোহেল রানা। বাংলাদেশে বেআইনি অনলাইন বিপণি ই-অরেঞ্জের অন্যতম কর্ণধারের আত্মীয় তিনি। অভিযোগ, দুর্নীতি করে উপার্জিত টাকা পাচারের পর নেপালে পালাচ্ছিলেন তিনি। তার কাছে একাধিক দেশের ভিসা পাওয়া যায়। পুলিশের অনুমান, নেপাল হয়ে ইউরোপের দেশে পালানোর পরিকল্পনা ছিল সোহেল রানার। ই-অরেঞ্জ সংস্থার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে ১,১০০ বাংলাদেশি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে।
শিলিগুড়ি কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৯ সেপ্টেম্বর ভারতে এসেছিলেন বাহারুন। কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ জেলে বন্দি সোহেলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছিলেন তিনি। সেজন্য ঘাঁটি গেঁড়েছিলেন শিলিগুড়িতে। কী উদ্দেশে তিনি সোহেল রানার সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন তা জানতে লাগাতার জেরা করছে পুলিশ।