কলকাতা হাইকোর্টকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, দু’দফায় রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলির নির্বাচন করা হবে। সুতরাং দ্রুতই রাজ্যে ফের ভোটের দামামা বেজে উঠবে। এই পরিস্থিতিতে জলপাইগুড়ি বিজেপিতে ভাঙন দেখা দিল। পুরসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এলেন বিজেপির জেলা সহ–সভাপতি ধরতি মোহন রায়। একুশের নির্বাচনে মেলেনি টিকিটও। ধরতি মোহন রায়ের অবশ্য অভিযোগ, বিজেপিতে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছিল তাঁকে।
এখানে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি বলেই তাঁদের নেতারা দাবি করে থাকেন। সেখানে এই ভাঙন পুরসভা নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মহুয়া গোপের উপস্থিতিতে জলপাইগুড়ি তৃণমূল ভবনে জেলার চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায়ের হাত ধরে ফেরেন তিনি। ধরতিমোহন রায় ছিলেন একদা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা জলপাইগুড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান।
কেন বিজেপি ছাড়লেন তিনি? এই বিষয়ে তিনি ধরতিবাবু বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম কিছু কারণেই। কিন্তু বিজেপিতে গিয়ে দেখলাম, ওখানে আমাকে একপ্রকার নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছিল। গুরুত্বহীন করে রাখা হয়েছিল। আর তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার পরেও দলের পক্ষ থেকে সব সময়ই যোগাযোগ রাখা হয়েছিল।’
বিজেপি অবশ্য এই অভিযোগ মানতে চায়নি। এই ঘটনায় জেলা বিজেপি নেতা অলোক চক্রবর্তী বলেন, ‘ধরতিমোহন বাবু তৃণমূল কংগ্রেসে গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। তাই এখানে আসার পর আমরা তাঁকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে জেলার সহ–সভাপতি করেছিলাম। কিন্তু তাঁকে বিজেপি বিধানসভার প্রার্থী হিসেবে টিকিট দেয়নি। বিজেপিতে এইভাবে টিকিট দেওয়া হয় না। টিকিট না পেয়ে দলের কাজ থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিলেন।’ ২০১৬ সালে তিনি এখান থেকে পরাজিত হয়েছিলেন।