করোনা মোকাবিলায় প্রশাসনিক বৈঠক। রবিবার আলিপুরদুয়ারের প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্স কন্যাতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ মন্ত্রী বুলুচিক বরাইকও উপস্থিত ছিলেন। জেলা তৃণমূলের তাবড় নেতারাও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। কিন্তু সেই বৈঠকে বিজেপির নবনির্বাচিত বিধায়করা ডাক পাননি বলে অভিযোগ। করোনা বৈঠককে ঘিরেও সংকীর্ণ রাজনীতি করছে শাসকদল, অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। জেলার সব আসনে বিজেপি বিধায়ক থাকলেও তাঁদের কেন ডাকা হল না গুরুত্বপূর্ণ সরকারি বৈঠকে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বৈঠক সূত্রে খবর, প্রশাসনিক কর্তাদের পাশাপাশি তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী, প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সেই বৈঠকে বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ।
এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়তেই নানা সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করেন মন্ত্রী বুলুচিক বরাইক। তিনি বলেন, ‘জরুরী ভিত্তিতে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সবাইকে খবর দিতে গেলে সময় লেগে যেতে পারত। এমার্জেন্সি হিসাবে কয়েকজনকে নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। আগামী দিনে আমরা সকলকে নিয়েই কাজ করব।’ মৃদুল গোস্বামী জানিয়েছেন, ‘আমি বৈঠকে ডাক পেয়েছি তাই গিয়েছি। বাকি কারা ডাক পাননি বা যাননি তা জানিনা।’ তবে বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের দাবি, ‘এই ধরণের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। অতিমারি রুখতে এই ধরণের সংকীর্ণ রাজনীতি করা উচিৎ নয়। প্রশাসনের কাছে আবারও আবেদন করব, আপনারা আগামী দিনে সকলকে নিয়ে কাজ করুন।’