করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে দেশ ও রাজ্যের উপর। বিশেষজ্ঞদের একাংশ এই দাবি করেছেন ইতিমধ্যেই। এই আবহে রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। আর করোনা গ্রাফ যখন ঊর্ধ্বমুখী, তখনই বাংলার চার পুরনিগমে ভোটের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তবে এই নির্বাচন যাতে স্থগিত রাখা হয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সেই আবেদনই করলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। ‘হাতজোড়’ করে সৌমিত্রর আর্জি, ‘এই পরিস্থিতিতে পুরসভা নির্বাচন করবেন না।’
এর আগে গতবছর বিধানসভা নির্বাচনের সমযই রাজ্যে আছড়ে পড়েছিল করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। সেই স্মৃতি অবশ্য আবছা হয়েছে। বড়দিন, বর্ষবরণে করোনা বিধি ভুলে রাস্তায় মানুষের ঢল নামে। আর এরপরই রাজ্যে বেশ কিছু ক্ষেত্রে কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। পুরনির্বাচন নিয়েও বৈঠকে বসে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে তারা সিদ্ধান্ত নেয়, পুরনিগমগুলিতে ভোট হবে পূর্বঘোষিত সূচি মেনেই। আর এরপরই সৌমিত্রর বক্তব্য, ‘খেলা, মেলা, উৎসবের জেরেই রাজ্যে করেনো সংক্রমণ এই হারে বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে পুরসভা নির্বাচন হওয়া উচিত না। আরও চার- পাঁচ মাস পর করোনা সংক্রমণ কমলে তখন রাজ্যে পুরসভা নির্বাচন হোক।’
রাজ্যে করোনার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফের জন্য সরাসরি মমতাকে দায়ী করে সৌমিত্রর বক্তব্য, ‘২৫ ডিসেম্বরের আগে এই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আর আজকের করোনা সংক্রমিতের সংখ্যার ফারাক অনেকটা। এর জন্যে পুরোপুরি দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত আড়াই বছর ধরে রাজ্যের অধিকাংশ পুরসভায় নির্বাচন স্থগিত হয়ে রয়েছে। তৃণমূলের লোকরাই পুরসভাগুলি চালাচ্ছে। এই অবস্থায় রাজ্য সরকার যদি চার থেকে পাঁচ মাস পুর নির্বাচন পিছিয়ে দিত, তাতে কোনও সমস্যা হত না।' বাঁকুড়ার ভৈরবস্থানে বিধায়ক কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে সৌমিত্র আরও বলেন, 'আমরা চাই আগে রাজ্য করোনা মুক্ত হোক। তার পরে পুরসভাগুলির নির্বাচন হোক। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন, এভাবে বাংলার মানুষকে বিপদের দিকে ঠেলে দেবেন না।’