নৃশংসভাবে পিটিয়ে খুন করা হল এক বিজেপি কর্মীকে। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন ওই বিজেপি কর্মীর স্ত্রীও। এমনকী, তাঁর বাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। যদিও তা অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নরেন্দ্রপুর। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নরেন্দ্রপুর থানার খেয়াদহ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার রাতে কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে আক্রান্ত হন ওই বিজেপি কর্মী। অভিযোগ, নির্মল মণ্ডল নামের ওই বিজেপি কর্মীকে লোহার রড দিয়ে তাঁর মাথায়, ঘাড়ে ও বুকে এলোপাথাড়ি মারা হয়। মারধরের চোটে ঘটনাস্থলেই অচৈতন্য হয়ে পড়ে যান নির্মলবাবু। এর পরেই দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দেয়। রাতেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই কর্মীকে উদ্ধার করে গড়িয়ার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভরতি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানেই মৃত্যু হয় ওই বিজেপি কর্মীর। বিজেপির অভিযোগ, তাঁদের দলীয় কর্মীকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মারধর করেছে। তাদের হাত থেকে তাঁর স্ত্রীও রেহাই পায়নি। ঘটনার তদন্তে নেমেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
এ বিষয়ে বিজেপি নেতা সুনীপ দাস বলেন, ‘এই এলাকায় বহুদিন ধরে সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে। বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করে মারধর করছে দুষ্কৃতীরা। যে কারণে এই এলাকায় পরিদর্শনে এসেছিলেন সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।’ তিনি আরও বলেন, ‘ আমাদের কর্মী নির্মল মণ্ডলকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। প্রশাসনের কাছে দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’ এ বিষয়ে তৃণমূল বিধায়ক ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘আইন আইনের পথে চলবে। কেউ জড়িত থাকলে, আইন অনুযায়ী শাস্তি পাবে।’