লকডাউন কিছুটা শিথিল করে বাস চলাচলে ছাড় দিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির জেরে রয়েছে বিধি নিষেধ। কেবল মাত্র ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চালানো যাবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহে কলকাতায় বেসরকারি বাসের দেখা মিলছে না রাস্তায়। অপরদিকে জেলায় জানা গিয়েছে, বাস চালাতে ডিজেলের বদলে শেষ পর্যন্ত কেরোসিন ব্যবহার করছেন বাস মালিকরা।
জানা গিয়েছে স্বল্প দূরত্বের রুটে বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় বাস চলছে কেরোসিনে। কেরোসিনের সঙ্গে মোবিল মিশিয়ে বাস চালানো হচ্ছে। বর্ধমান শহর, মেমারি, গুসকরা থেকে কাটোয়াতে এই ঘটনা ঘটছে বলে জানা গিয়েছে। বর্ধমানের আশেপাশের বিভিন্ন রুটের বাস মালিকদের আক্ষেপ, লকডাউন আবহে দীর্ঘদিন পর বাস চলাচলের অনুমতি মিললেও পকেটে সেভাবে টাকা ঢুকছে না। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চালানো সম্ভব নয়। তাছাড়া ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি সামাল দিয়ে লাভের মুখ দেখতে যে পরিমাণ যাত্রী প্রয়োজন, তারও দেখা মেলা দুষ্কর।
অনেক রুটেই যাত্রীদের থেকে বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে বাস মালিকদের দাবি, বেশি ভাড়া নিয়েও পোষাচ্ছে না তাদের। তাঁদের দাবি, এক লিটার ডিজেলে গড়ে তিন-সাড়ে তিন কিলোমিটার যেতে পারে একটি বাস। এদিকে কেরোসিন ব্যবহার করলে বাস গড়ে আড়াই-তিন কিলোমিটার যায়। ডিজেলের থেকে কেরোসিনের দাম অনেকটা কম হওয়ায় তাও বাস চালানো যাচ্ছে। তবে দূর পাল্লার বাস কেরোসিন ব্যবহারে চালাচ্ছেন না মালিকরা।
উল্লেখ্য, ডিজেলের থেকে কেরোসিনের দাম খোলা বাজারে প্রায় ২০ টাকা কম। ৫০ কিলোমিটার বাস কেরোসিনে চালালে ডিজেলের থেকে প্রায় ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা কম খরচ হয়। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, কেরোসিন ব্যবহার করে গাড়ি চালালে যন্ত্রের ক্ষতি ছাড়াও, ইঞ্জিনে আগুন লাগার সম্ভাবনা প্রবল।