সোমবার রাতে ফের একবার অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘরিয়ার আবাসনে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। এই আবাসনে কারা আসা যাওয়া করতেন, তা খুঁজে বের করতেই এই অভিযান বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে আবাসনের রেজিস্টার সংগ্রহ করেন ইডি আধিকারিকরা। পাশাপাশি আবাসনের বিশেষ অ্যাপের তথ্যও জোগাড় করেন তাঁরা। এদিকে সিসিটিভি ফুটেজ হাতে পাননি ইডি আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই নাকি সিসিটিভি ফুটেজ ইডির হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব হয়নি।
এর আগে গত শনিবারই বেলঘরিয়া ও টালিগঞ্জে অর্পিতার আবাসনে গিয়ে ইডি আধিকারিকরা বেশ কিছু তথ্য চেয়ে এসেছিলেন। কারা, কখন আবাসনে এসেছেন সেই সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সেই মতো সোমবার রাতে বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে এসে সেই তথ্য নিয়ে যান তাঁরা। উল্লেখ্য, বেলঘরিয়ার আবাসনে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিপুল অর্থ। এরপরই বেলঘরিয়া আবাসনের সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল তৃণমূলের এক বর্ষীয়ান সাংসদের। অভিযোগ ওঠে, সৌগত রায়ের সেই আবাসনে আনাগোনা ছিল। তবে সৌগত বাবু দাবি করেছেন, তাঁর সঙ্গে অর্পিতার যোগ প্রমাণ করতে পারলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুলাই বেলঘরিয়ায় অর্পিতার ফ্ল্যাটে হানা দেন ইডি কর্তারা। বেলঘরিয়ার আবাসনে অর্পিতার নামে দুটি ফ্ল্যাট ছিল। তার একটি থেকে কিছুই উদ্ধার করতে পারেননি তদন্তকারীরা। অপর ফ্ল্যাটটি থেকে উদ্ধার হয় ছয় কেজি সোনা, প্রায় ২৮ কোটি টাকা নগদ। বেডরুমের পাশাপাশি ফ্ল্যাটের বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ টাকা, সোনার গয়না। ১ কেজি করে তিনটি সোনার বাট, আংটি, একাধিক মোটা হার, ছ’টি মোটা মোটা সোনার বালা, সহ একাধিক সোনার গয়নাও উদ্ধার করা হয়। মোট ৪ কোটি ৩১ লক্ষ টাকার সোনা উদ্ধার করা হয় এই ফ্ল্যাট থেকে। এর আগে অর্পিতার টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল ২১ কোটি ৯০ লাখ নগদ টাকা। প্রায় ৫৪ লাখ টাকার বিদেশি মুদ্রা, সোনার গয়নাও উদ্ধার হয় সেই ফ্ল্যাট থেকে।