একজন সাধারণ নাগরিকের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বড়সড় সাফল্য পেল পুলিশ। একটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে মৃগনাভী বা কস্তুরি এবং কয়েকটি বিলুপ্তপ্রায় উড়ন্ত কাঠবিড়ালির চামড়া সহ এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে একটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে ওই পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয় এবং সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল পাচারকারী সিকিম পুলিশের একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক ছিলেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে পুলিশ মহলে।
আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরু এয়ারপোর্টে ব্যাগ খুলতেই বেরোল মৃত ক্যাঙারু শাবক সহ ২৩৪টি বন্যপ্রাণী
জানা গিয়েছে, ধৃত পুলিশের প্রাক্তন উচ্চপদস্থ আধিকারিকের নাম ড্যানি ভুটিয়া। তিনি সিকিম পুলিশের প্রাক্তন ডিএসপি এবং সিকিমের গ্যাংটকের বাসিন্দা। বন্যপ্রাণীর মৃতদেহ পাচারের অভিযোগে ওই প্রাক্তন অফিসারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাগডোগরা বনবিভাগের রেঞ্জার সোনাম ভুটিয়া জানান, একজন নাগরিক ওই হোটেলে এক ব্যক্তিকে বন্যপ্রাণীদের দেহাংশ পাচার করা নিয়ে কথোপকথন শুনতে পান। তাতে সন্দেহ হওয়ায় তিনি বন দফতরে ফোন করেন। এরপর বনকর্মী ও পুলিশ সেখানে পৌঁছে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর সেই ঘরে হানা দিয়ে পাচারকারীকে গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে জানা যায় আসলে তিনি সাধারণ পাচারকারী নন, তিনি সিকিম পুলিশের প্রাক্তন ডিএসপি। তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া বন্যপ্রাণীর দেহাংশের মূল্য প্রায় ২.৭০ কোটি। ধৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর বন কর্মকর্তারা জানতে পারেন, বন্যপ্রাণীর ওই দেহাংশ নেপাল থেকে আমদানি করা হয়েছিল। সেগুলি দিল্লিতে পাঠানোর উদ্দেশ্যে ছিল। সেই কারণে দিল্লি থেকে একজন ব্যক্তির ওই হোটেলে পৌঁছানোর কথা ছিল। তবে তার আগেই সেখানে হানা দিয়ে গ্রেফতার করা হয় ওই পাচারকারীকে।
বন আধিকারিক সোনম ভুটিয়া জানান, অভিযুক্তের কাছ থেকে ২০ গ্রাম এবং ২৫ গ্রাম ওজনের দুটি হরিণ কস্তুরি এবং ১৪০ গ্রাম ওজনের উড়ন্ত কাঠবিড়ালির চামড়া উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও, সিকিমের নম্বর প্লেট সহ একটি নিসান টেরানো গাড়ি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। জানা গিয়েছে, পাচারকারীর স্ত্রীও সিকিমের একজন প্রাক্তন পুলিশ কর্তা।