ঘরের ঝগড়া এবার একেবারে রাজনীতির মঞ্চে। সুজাতা মণ্ডল ও সৌমিত্র খাঁয়ের মধ্যে ঝামেলা, বিবাহ বিচ্ছেদ, আর সেই ঝড়ের আঁচ এবার আছড়ে পড়ল অভিষেকের মঞ্চে। বাঁকুড়ার ওন্দার মঞ্চ থেকে এদিন সৌমিত্রকে নিশানা করে তির ছোঁড়েন অভিষেক। তিনি বলেন, যে বাড়িতে লক্ষ্মীকে রাখতে পারে না, সে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সমালোচনা করছে। মমতা টাকা দিচ্ছে। আর মোদী আধার, প্যানের লিংকের নামে ১০০০ টাকা নিচ্ছেন। একেবারে জমে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা।
অভিষেকের মন্তব্যের পরে সৌমিত্রকে নিশানা করে তির ছুঁড়েছিলেন সুজাতাও।তবে এবার পালটা তোপ দেগেছেন সৌমিত্রও। তিনি জানিয়েছেন, আমার বিরুদ্ধে তো সিআইডি তদন্ত করিয়েছিলেন। এক টাকা যদি চুরি করে থাকি তবে ফাঁসির মঞ্চে উঠতে রাজি আছি। আর ঘরের লক্ষী নিয়ে অভিষেকের নিশানার পালটা দিয়েছেন সৌমিত্র। তিনি জানিয়েছেন, আমার এমন ঘরের লক্ষ্মী চাই না যাঁরা কয়লার টাকা খায়। রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অ্যাকাউন্টে ১৬৮ কোটি টাকা অশোক মিশ্রের মাধ্যমে বিনয় মিশ্রের মাধ্যমে লালার কাছ থেকে গিয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় এর জবাব দিন। একেবারে সরাসরি আক্রমণ।
একদিকে সৌমিত্রর বিরুদ্ধে যখন নানা অভিযোগ তখন অভিষেকের বিরুদ্ধে কয়লাকাণ্ডের অভিযোগ তুললেন খোদ সৌমিত্র। এবার এর জবাব কতটা আসে সেটাই দেখার। তবে সৌমিত্রকে আক্রমণ করে মুখ খুলেছেন সুজাতা।
সুজাতা বলেন, আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেছেন তা যথার্থ। একজন নারীকে কী ধরনের অত্যাচারের মুখোমুখি হতে হয়েছিল তা আজ অনেকেই জানেন। আমাকে মাঝরাতে বের করে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় নিরাপত্তা দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমার স্বামী ছিলেন যিনি সেই সৌমিত্র খাঁয়ের নামটা ভাবতেও আমার ঘেন্না হয়। লম্পট! এখন তো আমাদের মনে হচ্ছে তার মস্তিস্ক বিকৃতি হয়েছে। আইসির পরিবারকেও তিনি সম্মান দেখাতে পারেননি। অকথ্য ভাষায় তিনি কথা বলেছেন। যিনি নিজের স্ত্রীকেও সম্মান দিতে পারেননি তিনি অন্য নারীদের সম্মান দেবেন কীভাবে? লজ্জা লাগে তিনি বিষ্ণপুরের সাংসদ। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য। আমরা বলছি রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে তিনি এবার মাথার চিকিৎসাটা করিয়ে নিন।
তরজা। পালটা তরজা। একদিকে ৪০ ছুঁই ছুঁই পারদ। তারমধ্যেই রাজনৈতিক পারদও চড়ছে। একদিকে সৌমিত্র ও অপরদিকে অভিষেক।