সৎ মায়ের মৃত্যুর পর বাড়িতেই গর্ত খুড়ে দেহ পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়িতে। শহর লাগোয়া পাহাড়পুর পঞ্চায়েতের জমিদারপাড়ার ঘটনা। নিহত লক্ষ্মী মাঝির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। কেন তিনি সৎ মায়ের দেহ পুঁতে দিলেন তা জানতে মেয়ে পিঙ্কি মাঝিকে জেরা করছেন আধিকারিকরা।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, পিঙ্কির বাবা অশোক মাঝির গত সেপ্টেম্বরে মৃত্যু হয়। এর পর সৎ মা লক্ষ্মী মাঝিকে নিজের কাছে নিয়ে আসেন পিঙ্কি। অভিযোগ, বৃদ্ধার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন তিনি। পাড়ায় কারও সঙ্গে মিশতে দিতেন না। ঘরে দরজা বন্ধ করে কাজে চলে যেতেন।
সম্প্রতি প্রতিবেশীরা জানতে পারেন লক্ষ্মী দেবীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁকে বাড়িতেই পুঁতে দিয়েছেন পিঙ্কি। এর পর পুলিশে খবর দেন তাঁরা। শুক্রবার পুলিশ পৌঁছে লক্ষ্মীদেবীর দেহ উদ্ধার করে।
কিন্তু কেন সৎ মেয়ে মায়ের দেহ পুঁতে দিলেন সেই প্রশ্ন তুলেছেন প্রতিবেশীরা। পিঙ্কি মাঝির দাবি, ২০ দিন আগে কাজ থেকে ফিরে তিনি দেখেন ঘরে মা মরে পড়ে রয়েছেন। তখন মাথা কাজ করছিল না তাঁর। তাই বাড়িতেই গর্ত খুড়ে মায়ের দেহ পুঁতে দেন তিনি।
জেলাশাসক জানিয়েছেন, এক মহিলার দেহ বাড়িতেই পুঁতে দেওয়া হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তার পর পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
অভিযুক্ত পিঙ্কি মাঝিকে জেরা শুরু করেছে পুলিশ। জেরায় তিনি জানিয়েছেন, মা মারা যাওয়ার পর মাথা কাজ করছিল না। তাই বাড়িতেই গর্ত করে তাঁকে পুঁতে দিয়েছি। প্রায় ৮ ঘণ্টা ধরে ৫ ফুট লম্বা আড়াই ফুট চওড়া ও ২ ফুট গভীর গর্তটি তিনি নিজেই খুড়েছেন বলে জানিয়েছেন পেশায় নির্মাণ শ্রমিক পিঙ্কি।