বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে বিবাদের জেরে প্রেমিকাকে খুন করলেন প্রেমিক। ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থানার ২ নম্বর জালাবেড়িয়া বেনেরহাট এলাকার। প্রেমিকা করুণা গায়েনকে খুনের পর নিজের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করেন পরমেশ্বর হালদার নামে ওই ব্যক্তি।
অভিযুক্ত জানিয়েছেন, নিহত করুণা বিবাহিত। করুণার সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। দুজনে একসঙ্গে কলকাতায় অদক্ষ শ্রমিকের কাজ করতেন। বাড়িতে করুণাকে ধর্ম বোন বলে পরিচয় দিয়েছিলেন পরমেশ্বর। সেই সূত্রে পরমেশ্বরের বাড়িতে যাতায়াত ছিল করুণার। মঙ্গলবারও পরমেশ্বরের বাড়িতে যান করুণা। সেখানেই প্রেমিকাকে গলা টিপে খুন করেন পরমেশ্বর। এর পর ১২ বছরের ছেলেকে নিয়ে থানায় যায় সে। সেখানে ডিউটি অফিসারকে খুনের কথা জানিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। জানান, দেহ পড়ে রয়েছে বাড়িতেই।
কিন্তু কেন এই খুন?
অভিযুক্ত জানিয়েছেন, করুণার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে জটিলত তৈরি হয়েছিল। করুণা অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে বলে সন্দেহ করছিলেন তিনি। তা নিয়ে বিবাদের মধ্যেই উত্তেজিত হয়ে প্রেমিকাকে খুন করে ফেলেছেন। সঙ্গে সঙ্গে পরমেশ্বরের বাড়িতে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।