দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুভাষগ্রামের প্লাস্টিক কারখানায় বিধ্বংসী আগুন লাগল। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে এসে গিয়েছে দমকলের ছ'টি ইঞ্জিন। দমকলের আরও চারটি ইঞ্জিনকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হচ্ছে। মরিয়া হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা। যদিও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, আগুন আয়ত্তে তো আসেনি, উলটে আগুনের লেলিহান শিখা নতুন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে। বাড়ছে আগুনের তীব্রতা। শুধু তাই নয়, ওই প্লাস্টিক কারখানার পাশেই আছে বারুইপুর পলিটেকনিক কলেজ। সঙ্গে আছে খাটাল। কলেজ বা খাটালে যাতে কোনওভাবে আগুন ছড়িয়ে না পড়ে, সেই চেষ্টা করছে দমকল বিভাগ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শনিবার রাত আটটা নাগাদ সুভাষগ্রামের একটি প্লাস্টিক কারখানায় আগুন লাগে। কারখানায় দাহ্য পদার্থ থাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে আগুনের লেলিহান শিখা। রাতের অন্ধকারের মধ্যেই গলগল করে কালো ধোঁয়া বেরোতে থাকে। দ্রুত খবর দেওয়া হয় পুলিশ এবং দমকলকে। ঘটনাস্থলে চলে আসে দমকলের ছ'টি ইঞ্জিন। দু'ঘণ্টা ধরে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা। তবে এখনও আয়ত্তে আসেনি আগুন। বরং কারখানার আরও অংশ ছড়িয়ে পড়ছে বলে দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। সেই পরিস্থিতিতে দমকলের আরও চারটি ইঞ্জিন আনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Howrah Fire: ভোররাতে ভয়াবহ আগুন হাওড়ার মঙ্গলহাটে, দাউদাউ করে জ্বলল একের পর এক দোকান
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, প্লাস্টিকের কারখানায় আগুন লাগায় দমকলকর্মীদের বেগ পেতে হচ্ছে। কারণ কারখানায় মজুত আছে প্রচুর উপকরণ। যা অত্যন্ত দাহ্য। তার ফলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাসে চলে যাচ্ছে কারখানার বিস্তীর্ণ অংশ। শুধু তাই নয়, যে কারখানায় আগুন লেগেছে, সেটা জনবহুল এলাকায় অবস্থিত। ফলে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। কারখানার পাশেই বারুইপুর পলিটেকনিক কলেজ এবং খাটালও আছে। তাই উদ্বেগ আরও বেড়েছে।
আপাতত ঘটনাস্থলে আছে বারুইপুর পুলিশ। তবে কী কারণে ওই প্লাস্টিক কারখানায় বিধ্বংসী আগুন লেগেছে, তা নিয়ে প্রাথমিকভাবে পুলিশ বা দমকলের তরফে মুখ খোলা হয়নি। কারখানা থেকে কোনওভাবে কলেজ, খাটাল বা অন্যত্র আগুন ছড়িয়ে না পড়ে, আপাতত সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে অগ্নিকাণ্ডের কারণ খতিয়ে দেখা হবে বলে দমকল সূত্রের খবর।