মদন মিত্র আছেন মদন মিত্রেই। তিনি হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পথে রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে ওঠেন। তিনি লাল টুকটুকে পাঞ্জাবি পরে ছবি তোলেন। ফেসবুক লাইভ করেন। তার জন্য দলনেত্রীর ভর্ৎসনার মুখে পড়েন। আবার স্বমহিমায় তাঁকে দেখা যায়। এই মদন মিত্রই এবার বিতর্ক তৈরি করলেন। করোনাভাইরাস এখন রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী ৩০ জুন ২০ হাজার লোক নিয়ে কামারহাটিতে বিজয় উৎসবের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্র। আর তা নিয়েই তৈরি হয়েছে বিস্তর বিতর্ক। কারণ তিনি ফেসবুক লাইভে বার্তা দিয়েছেন, ওইদিন দুপুরে কামারহাটিতে কেউ বাড়িতে থাকবে না। রাস্তায় নামবে মানুষের ঢল।
দলের সাংগঠনিক বৈঠকে বারবার ফেসবুক লাইভ করার জন্য তৃণমূল সুপ্রিমোর ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছিল মদন মিত্রকে। তখন তিনি আর নিজেকে দেখা দেবেন না বলে ফেসবুক লাইভ করেছিলেন। এবার বিজয় উৎসব নিয়ে ফেসবুক লাইভ করেছেন। এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, একজন বিধায়ক হয়ে কী করোনা পরিস্থিতিতে এমন ভিড়ের আয়োজন করা উচিত?
এই বিষয়ে রবিবার ফেসবুক লাইভে মদন মিত্র বলেন, ‘আমরা যে জিতেছিলাম তার একটা বিজয় উৎসব হবে। অন্তত কুড়ি হাজার লোক নিয়ে হবে। সারা দিনরাত বাজনা হই–হুল্লোড় হবে। কাছের একটি মাঠে ব্যবস্থা হবে। আগামী ৩০ জুন কামারহাটির একটা লোকও বাড়িতে থাকবে না’। এই মন্তব্য করার সঙ্গে সঙ্গে তা নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়েছে। আর তার জেরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপকভাবে জয়ের পরে করোনা আবহে কোনও বিজয় মিছিল করতে নিষেদ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে এবার কামারহাটির বিধায়ক নিজেই ঘোষণা করে দিলেন, ২০ হাজার মানুষের জমায়েত হবে আগামী ৩০ জুন। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
রবিবাসরীয় ফেসবুক লাইভে তাঁর বার্তা, ‘জ্ঞানে অজ্ঞানে ভুল করলে ক্ষমা চাইছি। এখন থেকে দিন ডিক্লিয়ার করে দিলাম। ৩০ জুন রবিবার কামারহাটিতে মিলন উৎসব হবে। পৃথিবীর সমস্ত মানুষের আশীর্বাদ চাই। শুভেচ্ছা জানাতে চাই। আর গতকাল আমাদের পার্টি যে সিদ্ধান্তগুলি নিয়েছে তা অসাধারণ।’ তিনি আরও জানান, দলের নতুন সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, যুব তৃণমূলের সভাপতি সায়নী ঘোষদের শুভেচ্ছা জানাই। মদন বলেন, ‘বেস্ট চয়েস। আমি তো খুব খুশি হয়েছি।’