‘দুয়ারে’ এসেছে সরকার। আর প্রথম দফায় তাতে ব্যাপক সাড়া মিলল। শুধুমাত্র পশ্চিম মেদিনীপুরেই জমা পড়েছে তিন লাখের বেশি আবেদন। তার মধ্যে কমপক্ষে ৭০ শতাংশ আবেদনই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের জন্য এসেছে বলেই সূত্রের খবর।
গত ১ ডিসেম্বর থেকে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। প্রথম দফায় তা শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলেছে। দ্বিতীয় দফার শিবির শুরু হবে আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে (মঙ্গলবার)। তারপর আরও দু'দফায় শিবির আয়োজিত হবে। তবে প্রথম দফায় যেভাবে সাড়া মিলেছে, তাতে খুশি প্রশাসন। ৮ ডিসেম্বরে মেদিনীপুর সফরে এসে একটি শিবির পরিদর্শনে গিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আচমকা সেই শিবিরে গিয়ে উপভোক্তাদের হাতে স্বাস্থ্যসাথী, জাতিগত শংসাপত্র তুলে দিয়েছিলেন তিনি। ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে যেভাবে সাড়া মিলেছে, তা নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন।
নবান্নের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুক্রবার পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩২২,৪৩৭ আবেদন জমা পড়েছে। প্রথম দফার শেষদিনে প্রায় ৪০,০০০ আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, প্রথম দফায় যে আবেদন জমা পড়েছে, তার ৭০ শতাংশের বেশি এসেছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের জন্য। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, সরকারি স্বাস্থ্যবিমার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করে রাজ্যের সব বাসিন্দাকেই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল সরকার। যার পরিমাণ বছরে পাঁচ লাখ টাকা। এতদিন যাঁরা স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় ছিলেন না, ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির মাধ্যমে তাঁদেরও রাজ্য সরকারের বিমার আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। তার ফলে স্বভাবতই সেই প্রকল্পের সবথেকে বেশি আবেদন জমা পড়ছে।
স্বাস্থ্যসাথীও ছাড়া খাদ্যসাথী, একশো দিনের কাজ, কন্যাশ্রী, ঐক্যশ্রী, কৃষকবন্ধু, রূপশ্রী, তপসিলি বন্ধু, জয় জোহারের মতো প্রকল্পেও ভালোমতো আবেদন জমা পড়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব সেই সমস্যা সমাধান করা হচ্ছে, যাতে কারোর কোনও অসুবিধা না হয়।