হলদিয়ার দুর্গাচকে জ্বলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতরা হলেন রমা দে (৪০) ও তাঁর মেয়ে রিয়া দে (১৯)। তাঁরা উত্তর ২৪ পরগনার নব বারাকপুরের বাসিন্দা। ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতরা সাদ্দাম হোসেন ও মনজুর আলম মল্লিক। মূল অভিযুক্ত সাদ্দামের সঙ্গে রিয়ার প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল বলে জানা গিয়েছে। ধৃতরা জেরায় স্বীকার করেছে, ২ জনকে জীবিত অবস্থায় আগুন দিয়ে হত্যা করেছে তারা।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে হলদিয়ার দুর্গাচকে হলদি নদীর চরে ২টি জ্বলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। একটি দেহ মহিলার বলে সনাক্ত হলেও অন্যটি এতটাই পুড়ে গিয়েছিল যে চিহ্নিত করা যায়নি। দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। জানা যায় ২টি দেহই মহিলার। এরপর তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
তদন্তে সাদ্দাম হোসেন ও মনজুর আলম মল্লিকের নাম উঠে আসে। তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় ধৃতরা জানায়, রিয়ার সঙ্গে সোশ্যাল সাইটে সম্পর্ক গড়ে ওঠে দুর্গাচকের বাসিন্দা সাদ্দামের। সেকথা জানতে পেরে মেয়েকে নিয়ে হলদিয়া আসেন রমাদেবী। সেখানে তাঁদের মধ্যে বচসা হয়। এর পরই মা-মেয়েকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয় সাদ্দাম।
জানা গিয়েছে মনজুর-সহ আরও বেশ কয়েকজনের সাহায্যে প্রথমে কিছু খাইয়ে দুজনকে অচেতন করে সাদ্দামরা। তার পর হলদি নদীর পাড়ে নিয়ে গিয়ে জীবন্ত অবস্থায় গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।
ধৃতরা দুর্গাচকের নিউ কলোনি এলাকার বাসিন্দা। সাদ্দাম বেসরকারি সংস্থার ঠিকা শ্রমিক। মনজুর ছোট ঠিকাদার। তাদের আদালতে পেশ করার পর ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ঘটনায় আরও কয়েকজন যুক্ত বলে অনুমান। ধৃতদের জেরা করে তাদের খোঁজ চলছে।