মাধ্যমিকে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ১২ জন পড়ুয়া স্থান করে নিয়েছিলেন প্রথম দশে। উচ্চমাধ্যমিকেও মেধাতালিকায় জয়জয়কার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের। দ্বাদশের ফলপ্রকাশ হলে আজ দেখা যায়, এই স্কুল থেকে ৯ জন প্রথম দশে স্থান করে নিয়েছে। এবার রাজ্যে উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম স্থানাধিকারীও এই স্কুলেরই। শুভ্রাংশু সর্দার। অঙ্কের সঙ্গে অর্থনীতি এবং স্ট্যাটিস্টিক্স নিয়ে পড়াশোনা করে ৪৯৬ নম্বর পেয়েছেন তিনি। তাঁর আরও ৮ সহপাঠী এবারে উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকায় স্থান করে নিয়েছেন। স্কুলে দ্বিতীয় এবং রাজ্যে চতুর্থ হয়েছেন নরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভ্রাংশুর থেকে মাত্র তিন নম্বর কম পেয়েছেন তিনি। আর নরেন্দ্রনাথের থেকে দু'নম্বর কম পেয়ে ষষ্ঠ হয়েছেন অর্কদীপ ঘরা। (আরও পড়ুন: 'সায়েন্স' না নিয়েও উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম, কোন কোন বিষয়ে ১০০ পেয়েছেন শুভ্রাংশু?)
রাজ্যে সপ্তম হয়েছেন এই স্কুলেরই বিতান শাসমল, অর্ক ঘোষ এবং অভিরূপ পাল। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯০। ৪৮৯ নম্বর পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে অষ্টম হয়েছেন নরেন্দ্রপুরের সৈয়দ সাকলাইন কবির। এবং তাঁর থেকে এক নম্বর পেয়ে নবম হয়ে মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছেন সায়ন সাহা এবং অর্কপ্রতিম দে। এই ফলাফলে আপ্লুত নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বামী ইষ্টেশানন্দ। তিনি জানান, ২০১৫ সালের পর ফের উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকায় স্থান করে নিয়েছে স্কুলের পড়ুয়া। এদিকে শুভ্রাংশু যে ভালো ফল করবেন তা নিয়ে আশাবাদী ছিলেন তিনি। তবে অঙ্ক, অর্থনীতি ও স্ট্যাট নিয়ে যে তিনি প্রথম হবেন, তা ভাবতে পারেননি স্বামী ইষ্টেশানন্দ।
এর আগে মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন থেকেই প্রথম দশে জায়গা পেয়েছিলেন ১২ জন। মাধ্যমিকে ৬৮৯ পেয়ে রাজ্যের মধ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছিলেন রাজ্যের মধ্যে ষষ্ঠ ও স্কুলের মধ্যে দ্বিতীয় হয়েছেন অনীশের যমজ ভাই অনীক বাড়ুই। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬৮৭। তছাড়া ষষ্ঠ স্থানে ছিলেন সুতীর্থ পালও। ৬৮৬ নম্বর পেয়ে সপ্তম হন অদ্রিজ গুপ্ত। ৬৮৫ পেয়ে রাজ্যে অষ্টম হন শিবম মণ্ডল ও দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য। মাধ্যমিকে নবম স্থান অধিকার করেন আরিয়ান গোস্বামী এবং অর্কপ্রভ জানা। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬৮৪। এছাড়া শমীক মাহাতো, সাগ্নিক মণ্ডল, রাফিদ রানা লস্কর এবং রুদ্রনীল দাস ৬৮৩ পেয়ে দশম হয়েছিলেন মাধ্যমিকে।