সওকত মোল্লাকে আইনের পথে বুঝে নেব। ভাঙড়ে সংঘর্ষ প্রসঙ্গে পালটা চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন স্থানীয় ISF বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি। তিনি বলেন, ভাঙড়ে ৮৩ নম্বর জেলা পরিষদ আসনের জয়ী ISF প্রার্থী জাহানারা বিবিকে ৪ ঘণ্টা বসিয়ে রেখে গণনাকেন্দ্রের আলো নিভিয়ে কারচুপি হয়েছে। গোটা গেমপ্ল্যানে জড়িত বিডিও ও অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
এদিন সওকতের চ্যালেঞ্জের জবাবে নওসাদ বলেন, ‘শুধু ভাঙড় নয়, সারা রাজ্যে তৃণমূল কী পরিস্থিতি তৈরি করেছে সবাই দেখতে পাচ্ছে। গণনা হয়ে গিয়েছে। প্রার্থীকে সার্টিফিকেট না দিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছে। জেলা পরিষদে জাহানারা বিবি জিতে গিয়েছেন। তাঁকে সার্টিফিকেট দেওয়ার নাম করে ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বসিয়ে রাখা হয়েছিল। তার পর তাঁকে বলা হচ্ছে তিনি পরাজিত হয়েছেন’।
নওসাদের প্রশ্ন, ‘কেন ৪ ঘণ্টার বেশি সময় গণনাকেন্দ্রে আলো বন্ধ ছিল? ওখানে জেনারেটরের ব্যবস্থা ছিল না? কেন সেটা চালানো হয়নি? গোটাটা একটা গেমপ্ল্যান, শাসক, প্রশাসন ও প্রশাসনের আধিকারিকরা এতে জড়িয়ে আছেন’।
সওকতকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে নওসাদ বলেন, ‘আমরা গোটা ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়েছি। সোমবার শুনানি আছে। সিবিআই তদন্ত করে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। যারা এর সঙ্গে যুক্ত আইনের পথে তাদের বিচার বুঝে নেব। সওকত মোল্লা সাহেব আজ সাপ হয়ে কামড়ে ওঝা হয়ে ঝাড়ার চেষ্টা করছেন। উনিই ভাঙড়বাসীকে উসকেছেন। কী করে ৪ ঘণ্টায় ভোটের ফল বদলে গেল আদালতে বিডিওকে তার জবাব দিতে হবে’।
ভাঙড়ের কাঁঠালিয়ায় গণনার রাতে হিংসা প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার তৃণমূল নেতা সওকত মোল্লা বলেন, ভাঙড়ের ওই জেলা পরিষদ আসনের গণনা শুভেন্দু অধিকারী বা নওসাদ সিদ্দিকির বাড়িতে হোক। তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান ১ ভোট কমলে ভাঙড় ও ক্যানিংয়ে সমস্ত জয়ী তৃণমূল প্রার্থী পদত্যাগ করবে। মঙ্গলবার রাতে ভাঙড়ে ওই ঘটনায় ৩ জনের প্রাণ যায়।