করোনা আবহে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই পরিস্থিতিতে বাইরে যাওয়ার প্রয়োজনও কমেছে। আর তাই বাড়িতে পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে সবুজ সাথীর সাইকেল। এই প্রায় নষ্ট হয়ে যাওয়া সাইকেলের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়েছে বর্তমান সময়ে। তাই জলের দরে সেই সাইকেল ফেরিওয়ালাকে বিক্রি করছেন অনেকেই।
করোনা আবহে সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্বের প্রায় সব দেশএই জারি হয়েছিল লকডাউন। ভারতও এই ব্যতিক্রম ছিল না। দীর্ঘ দিন দেশে লকডাউন জারি ছিল ২০২০ সালে। ২০২১ সালে পরিস্থিতি একটু ভালো হওয়ার আশা করেছিলেন অনেকেই। তবে এবছর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। যার জেরে স্কুল-কলেজ খোলা তো দূর, ফের একবার বহু রাজ্যে ফের জারি হয়েছিল লকডাউন।
এদিকে স্কুল-কলেজ ছাড়াও বন্ধ মানুষের জীবন জীবীকায় ব্যাঘাত ঘটেছে। তাই ছাত্রীদের অভিভাবকরাও যে তাদের অকেজো সাইকেল ব্যবহার করবেন, সেই উপায়ও নেই বহু ক্ষেত্রে। এরই মাঝে চরম আর্থিক সংকটে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প 'সবুজ সাথী' এখন ফেরিওয়ালার কাছে বিকোচ্ছে জলের দরে।
জানা যায়, উত্তরবঙ্গের রায়গঞ্জে এক ফেরিওয়ালা নাকি ২৫০ টাকার বিনিময়ে একটি সাইকেল কেনেন। আনন্দ দাস নামক সেই ফেরিওয়ালা জানান যে জলের দরে এই সাইকেলটি তিনি কেনেন। ২৫ বা ৩০ টাকা লাভে সেই সাইকেল মহাজনকে বিক্রিও করে দেবেন তিনি। সেই সাইকেলটি নাকি সবুজ সাথী প্রকল্পের। আনন্দ জানান, প্রায় প্রতিদিনই এরকম সাইকেল কিনছেন তিনি। তবে যে যে সাইকেল তিনি কিনছেন, তার সবকটাই সবুজ সাথীর কি না, তা মনে নেই আনন্দের।
এদিকে এই বিষয়ে সবুজ সাথীর সাইকেল পাওয়া এক ছাত্রীর বাবা হেমেন্দ্র নাথ জানান, দীর্ঘদিন ধরে শীক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি বন্ধ রুটিরুজির সংস্থানের উপায়ও। চরম অর্থ সংকটে পড়তে হয়েছে তাঁদের। সংসার চালানোর তাগিদেই তাই অকেজো হয়ে পড়ে থাকা সাইকেলটি জলের দরে বিক্রি করেছেন তিনি। পাশাপাশি পরিস্থিতি বদলের আবেদন জানান হেমেন্দ্র।