অসহ্য গরমের মধ্যে স্বস্তি বয়ে আনল কালবৈশাখী। রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় বীরভূম, বর্ধমান, কলকাতা-সহ একাধিক জায়গায় কালবৈশাখী আছড়ে পড়ল। একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়। কয়েকটি জায়গা থেকে শিলাবৃষ্টিরও খবর মিলেছে। পাল্লা দিয়ে বইতে থাকে ঝড়। ঝড়ের গতিবেগ ৪০-৫০ কিলোমিটারও ছুঁয়ে ফেলে।
মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকেই এবার পারদ চড়েছে। প্রচণ্ড গরমে রীতিমতো হাঁসফাঁস করছিলেন বঙ্গবাসী। সূর্যের প্রখর তাপে রীতিমতো পুড়তে হচ্ছিল। সেই অবস্থা কিছুটা রেহাই দিয়ে রবিবার দুপুরের পর থেকেই রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া-সহ ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তবর্তী জেলাগুলির আকাশে তৈরি হওয়া বিশাল মেঘকোষের দাপটে আছড়ে পড়ে কালবৈশাখী। বীরভূমে কালবৈশাখীর দাপট সবথেকে বেশি ছিল। বোলপুর, দুবরাজপুর, কীর্ণাহারে শিলাবৃষ্টি হয়। শান্তিনিকেতন, সিউড়িতে কার্যত তাণ্ডব চলে। ভেঙে পড়ে গাছ, বৈদ্যুতিক খুূঁটি। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার ছিঁড়ে একজন আহত হন।
আর বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ঝড়-বৃষ্টি হয়। নদিয়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, দুই পরগনা-সহ বিভিন্ন জেলায় আকাশ কালো করে বর্ষণ শুরু হয়। সঙ্গে বইতে থাকে ঝোড়ো হাওয়া। কিছুটা পর থেকেও কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঝোড়া হাওয়া বইতে শুরু করে। শুরু হয় বৃষ্টি। গড়িয়ার মতো কয়েকটি জায়গায় শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। তার ফলে বছর শেষের তপ্ত বাংলায় যে নাভিঃশ্বাস উঠছিল, তা থেকে কিছুটা রেহাই পেয়েছেন রাজ্যবাসী।
তবে সেই স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হবে না। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামিকাল (সোমবার) সকাল থেকেই আবার তাপমাত্রার পারদ বাড়তে থাকবে। তার ফলে আবারও অস্বস্তিকর গরম ভোগাবে।