অভিষেকের মন্তব্যের পরেই বিস্ফোরক 'ঘরের লক্ষ্মী' সুজাতা! লম্পট, মাথা খারাপ…

২০১৯এর লোকসভা নির্বাচনের আগেও ছবিটা এমন ছিল না। সেদিন গোটা বাংলা দেখেছিল বিষ্ণুপুরে প্রচন্ড দাবদাহকে উপেক্ষা করে স্বামীর জন্য ভোট প্রচার করছেন সুজাতা। সেদিন ছিল একার লড়াই। গোটা বাংলা দেখেছিল স্বামীকে জিতিয়ে আনতে স্ত্রীর মরণপণ লড়াই।

সৌমিত্র ও সুজাতা। (ফাইল ছবি, সৌজন্য ফেসবুক)

বাঁকুড়ার ওন্দা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে নিশানা করে বুধবার তোপ দেগেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সৌমিত্রকে কার্যত নিশানা করে অভিষেক জানিয়েছিলেন, যে বাড়িতে লক্ষ্মীকে রাখতে পারে না, সে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সমালোচনা করছে। মমতা টাকা দিচ্ছে। আর মোদী আধার, প্যানের লিংকের নামে ১০০০ টাকা নিচ্ছেন। অভিষেকের এই মন্তব্যের পরেই জোর শোরগোল বাংলার রাজনীতির আঙিনায়।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, অভিষেক আসলে বাড়ির লক্ষ্মী হিসাবে সুজাতা মণ্ডলের কথা উল্লেখ করতে চেয়েছেন। কার্যত সুজাতার সঙ্গে সৌমিত্রের বিচ্ছেদকে সামনে এনেই তিনি খোঁচা দিয়েছেন বিজেপি সাংসদকে। কিন্তু এভাবে ব্যক্তিগত জীবনকে রাজনীতির আঙিনায় টেনে আনা কতটা যুক্তিসংগত তা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে অভিষেকের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে সেই 'ঘরের লক্ষ্মী' সুজাতার কী প্রতিক্রিয়া? এনিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলায় মুখ খুলেছেন সুজাতা মণ্ডল।

সুজাতা বলেন, আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেছেন তা যথার্থ। একজন নারীকে কী ধরনের অত্যাচারের মুখোমুখি হতে হয়েছিল তা আজ অনেকেই জানেন। আমাকে মাঝরাতে বের করে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় নিরাপত্তা দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমার স্বামী ছিলেন যিনি সেই সৌমিত্র খাঁয়ের নামটা ভাবতেও আমার ঘেন্না হয়। লম্পট! এখন তো আমাদের মনে হচ্ছে তার মস্তিস্ক বিকৃতি হয়েছে। আইসির পরিবারকেও তিনি সম্মান দেখাতে পারেননি। অকথ্য ভাষায় তিনি কথা বলেছেন। যিনি নিজের স্ত্রীকেও সম্মান দিতে পারেননি তিনি অন্য নারীদের সম্মান দেবেন কীভাবে? লজ্জা লাগে তিনি বিষ্ণপুরের সাংসদ। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য। আমরা বলছি রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে তিনি এবার মাথার চিকিৎসাটা করিয়ে নিন। সৌমিত্রর বিরুদ্ধে ফের তির ছুঁড়লেন সুজাতা।

সদ্য বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে সুজাতা-সৌমিত্রর। আসন্ন নতুন জীবনের স্বপ্ন বুনছেন সুজাতা। তার মধ্যেই মাঝে মধ্যেই ফিরে আসছে সৌমিত্রর সঙ্গে কাটানো সেই 'ভয়াবহ' দিনগুলোর কথা।

অথচ ২০১৯এর লোকসভা নির্বাচনের আগেও ছবিটা এমন ছিল না। সেদিন গোটা বাংলা দেখেছিল বিষ্ণুপুরে প্রচন্ড দাবদাহকে উপেক্ষা করে স্বামীর জন্য ভোট প্রচার করছেন সুজাতা। সেদিন ছিল একার লড়াই। গোটা বাংলা দেখেছিল স্বামীকে জিতিয়ে আনতে স্ত্রীর মরণপণ লড়াই। এরপর জিতে যান সৌমিত্র। কিন্তু সৌমিত্র-সুজাতার সেই জুটি দীর্ঘস্থায়ী হল না। সৌমিত্র থেকে গেলেন বিজেপিতে। সুজাতা চলে এলেন তৃণমূলে। আর এখন বিবাহিত জীবনেও বিচ্ছেদ।