রবিবার ঠাকুরনগরে যান তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার আগেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় মতুয়াদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। বন্ধ করে দেওয়া হয় মন্দিরের গেট। অভিষেককে ঘিরে কালো পতাকা দেখায় মতুয়াদের একাংশ। এবার অভিষেককে কড়া ভাষাউ আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘উনি যাওয়াতে ঠাকুরবাড়ি অপবিত্র হয়েছে।’ একই সঙ্গে পুলিশের উপস্থিতিতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা মতুয়া মহাসংঘের সদস্যদের উপর হামলা চালিয়েছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলে শুভেন্দু।
অভিষেক ঠাকুরনগরে যাওয়ার পরে টুইট করে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি তিনি ঠাকুরনগরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সেখানে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র অমিত শাহের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এর পরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েও তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ঠাকুরবাড়ি যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। কিন্তু সেই নিয়ম মানেনি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেকের নাম না করে শুভেন্দু বলেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দলীয় পতাকা, কর্মী সমর্থক এবং কয়েকশ পুলিশ নিয়ে উনি ঠাকুরবাড়ি দখল করতে গিয়েছিলেন।’ কোনরকম অনুমতি ছাড়া কেনই বা তিনি সেখানে গেলেন তাই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু অধিকারী।
বিরোধী দলনেতার আরও অভিযোগ, শান্তনু ঠাকুর এবং অশোক কীর্তনীয়াকে হেনস্থা করা হয়েছে। তিনি পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘পুলিশরা প্রস্তুত থাকুন। লোকসভার সংসদ বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গায়ে হাত দিলে কী হয় তা বুঝতে পারবেন। লোকসভার স্পিকার ডেকে পাঠাবেন।’ উল্লেখ্য, শনিবার গাইঘাটা ও বনগাঁতে রোড শো করেন অভিষেক। আর রবিবার ঠাকুরনগরে রোড শো করে দুপুরেই ঠাকুরবাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল অভিষেকের। তার আগেই রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঠাকুরনগর চত্বর। হরিচাঁদ মন্দিরের সামনেই মতুয়াদের দুই পক্ষের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। ক্রমেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।