বাংলায় বন্দে ভারতের যাত্রী পরিষেবা শুরুর একদিনের মাথায় এই ট্রেনের ওপর পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। এই আবহে এনআইএ তদন্তের দাবি তুললেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামেপ বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, বন্দে ভারত ট্রেন উদ্বোধবের দিন হাওড়া স্টেশনে মমতাকে উদ্দেশ্য করে 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান তুলেছিলেন বিজেপি কর্মীরা। এর 'প্রতিশোধ' নিতেই বন্দে ভারতে পাথর ছোড়া হয়ে থাকতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর, রেল মন্ত্রক, এনআইএ, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে ট্যাগ করে টুইট করে ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি তোলেন।
শুভেন্দু নিজের টুইট বার্তায় লেখেন, 'দুর্ভাগ্যজনক এবং অসুস্থ। পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলায় ভারতের গর্ব বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়া হয়েছে। উদ্বোধনের দিনে 'জয় শ্রীরাম' স্লোগানের প্রতিশোধেই কি এই কাজ? আমি প্রধানমন্ত্রীর দফতর এবং রেল মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যাতে এনআইএ-কে এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় এবং দোষীদের কড়া সাজা দেওয়া হয়।' উল্লেখ্য, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে বিজেপির ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। গত ৩০ ডিসেম্বর হাওড়া স্টেশনে মমতা মঞ্চে উঠতে গেলে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান তুলেছিলেন। এর জেরে মঞ্চেই ওঠেননি মমতা। এদিকে শুভেন্দুর বক্তব্য ছিল, জয় শ্রীরাম শ্লোগান ওঠার কারণে নয়, বরং তিনি মঞ্চে ছিলেন বলেই মমতা সেদিন মঞ্চে ওঠেননি। তাঁর কথায়, 'আমার সঙ্গে একই মঞ্চে থাকতে তাঁর আপত্তি ছিল। কারণ আমি তাঁকে নন্দীগ্রামে হারিয়েছি।’
এদিকে গতকাল নিউ জলপাইগুড়ি থেকে হাওড়াগামী বন্দে ভারতের একটি কামরা লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। তার জেরে ওই কোচের দরজার কাঁচ ভেঙে যায়। জানা যায়, সোমবার বিকেল পাঁচটা ১০ মিনিট নাগাদ কুমারগঞ্জ স্টেশনের কাছে বন্দে ভারতের সি-১৩ কোচে পাথর এসে পড়ে। যা ট্রেনের শেষের দিক থেকে দ্বিতীয় কামরা ছিল। রেল সূত্রে খবর, সেই ঘটনার পর নির্ধারিত স্টপেজ মেনে মালদা টাউনে দাঁড়ায় নিউ জলপাইগুড়ি-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। কিন্তু যাত্রী পরিষেবা শুরুর দ্বিতীয় দিনেই কে বা কারা সেই ঘটনা ঘটিয়েছে, সেই কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে রেল। পাথর ছোড়ার কারণে কোতের স্বয়ংক্রিয় দরজাটি খোলা নিয়ে কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল।