ইঞ্জিনের সমস্যার জেরেই কি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল বিকানের এক্সপ্রেস? ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী নিজে। এই দুর্ঘটনার কারণ খউঁজে বের করতে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি-র নেতৃত্বাধীন বিশেষ তদন্তকারী দল কাজ শুরু করেছে। এই আবহে দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে ইঞ্জিনটিকে খতিয়ে দেখা হবে। আর তাই ইঞ্জিনটিকে আপাতত রাখা হয়েছে নিউ দোমহনি স্টেশনে। জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন পার করার কিছউ পরে ট্রেনটি ৯৫ থেকে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিতে চলছিল। গাড়িতে আচমকা ঝাঁকুনি অনুভব করাতেই নাকি চালক প্রদীপ কুমার ব্রেক কষেছিলেন। আর এরপরই নাকি এই দুর্ঘটনা ঘটে।
সূত্রের খবর, ইঞ্জিনে যে সমস্যা রয়েছে, সেই ইঙ্গিত আগেই পেয়েছইলেন লোকো পাইলট। তিনি নাকি জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনের স্টেশন মাস্টারকে সেই বিষয়ে জানিয়েছিলেন। ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনকে খবর দেওয়া হলেও অপেক্ষা না করে চালক ট্রেন নিয়ে কোচবিহারের উদ্দেশে রওনা দেন। এরপরই দোমহনিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর দেখা যায় ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণকারী ট্র্যাকশন মোটরটি খুলে গিয়েছে। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, ট্র্যাকশন মোটরটি কি আগেই খারাপ হয়ে গিয়েছিল? জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে স্টেশন মাস্টারের সঙ্গে লোকো পাইটের সাক্ষাতের বিষয়টি সেই জল্পনাই উস্কে দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, গুয়াহাটিগামী বিকানের এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার পরদিনই দোমহনিতে গিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের লোকো পাইলটের সঙ্গে কথা বলে জানিয়েছিলেন যে ইঞ্জিনের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এদিকে ময়নাগুড়ির সেই অভিশপ্ত ট্রেনের চালকের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন আহতদের পরিবারের সদস্যরা। ময়নাগুড়ি জিআরপিতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আহতদের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, জোরে ব্রেক কষার জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৪, ২৭৯, ৩৩৭, ৩৩৮, ৪২৭ নম্বর ধারায় মামলা করা হয়েছে। এই আবহে ঘটনার উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।