ফের প্রকাশ্যে শাসকদলের অন্তর্দ্বন্দ্ব। এবার জলপাইগুড়িতে সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি মোশারফ হোসেন বিধায়কদের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সংবাদমাধ্যমের সামনেই। শনিবার সন্ধ্যায় তৃণমূল ভবনে সংখ্যালঘু সেলের জেলা কমিটির সাংবাদিক বৈঠকে মোশারফ বলেন, 'ভোট শেষ হওয়ার পরে আর বিধআয়কদের দেখা মেলেনি এলাকায়।'
মোশারফ এদিন বলেন, 'আমরা লড়াই করে নিজেদের পকেট থেকে টাকা খরচ করে এখানকার বিধায়কদের জিতিয়েছি। নির্বাচনে জেতার পর আর তাঁদের দেখা যাচ্ছে না এলাকায়। আমাদের কোনও প্রয়োজনেই আর তাঁদের পাচ্ছি না আমরা। আমাদের অনেক দাবি জানানোর আছে। তবে সেসব পূরণ হচ্ছে না। সেই সবের বিষয়ে জানাতেও পারছি না। বিভিন্ন জায়গার বিভিন্ন কমিটিতে অন্য সম্প্রদায়ের মানুষ জায়গা পেলেও আমরা পাচ্ছি না।'
তিনি আরও অভইযোগ করেন, 'বিধায়করা আমাদের কোনও কথাই শুনতে চান না। বিভিন্ন স্কুল বা কলেজগুলিতে যেই কমিটি গঠিত হচ্ছে তাতে অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষেরা জায়গা পাচ্ছে। তবে আমাদের সেখানে জায়গা দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরা পরীক্ষায় ভালো ফল করলেও তারা উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।'
এদিকে অন্তর্দ্বন্দ্বের মাঝেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বহু কর্মী। জানা গিয়েছএ শনিবারের অনুষ্ঠানে অল ইন্ডিয়া মাইনরিটি অর্গানাইজেশন নামক এক সংগঠনের সব সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লিখিছেছেন। অনুষ্ঠানে এদিন উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি কৃষ্ণ কুমার কল্যানী,জেলাপরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মণও। নতুন সদস্য দলে যোগদানের দিনই শীর্ষ নেতাদের সামনে এই ভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করে দলের অস্বস্তি কিছুটা হলেও বাড়িয়েছেন সংখ্যালঘু সেলের এই নেতা।