প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের প্রায় সর্বত্র দুয়ারে দুর্নীতি। তার জেরে বিক্ষোভও চলছে গ্রাম থেকে শহরে। প্রায় ১০০ শতাংশ জায়গায় আবাস যোজনার তালিকা তৈরিতে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূল। কোথাও তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের ৭ জন আত্মীয়ের নাম উঠেছে তালিকায়। অথচ বঞ্চিত কাঁচা ঘরের বাসিন্দারা। এই নিয়ে রাজ্যজুড়ে যখন তুলকালাম চলছে তখনও যে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণে লাগাম পরবে না তা স্পষ্ট হল তৃণমূলের জেলা সভাপতির মন্তব্যে। জলপাইগুড়ির তৃণমূল জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, ঘর পেতে গেলে করতে হবে তৃণমূলই।
শনিবার জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া পাহাড়পুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি শোভিত এক ‘যোগদান সভা’য় মহুয়াদেবীকে বলতে শোনা যায়, ‘এই ঘরের তালিকা দেখে যারা আজকে বিভ্রান্ত হয়ে বিজেপির কথা শুনছেন তাদের একটা কথাই মনে রাখতে হবে, যে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ ও সর্বোপরি তৃণমূল কংগ্রেসের মা মাটি মানুষের সরকার। এই পাহাড়পুরের বাসিন্দা হয়ে যদি সব সরকারি সুবিধার পাশাপাশি ঘরটাও পেতে হয় তৃণমূল কংগ্রেস দলটাই করতে হবে। কোনও বিজেপি আপনাদের ঘর দিতে পারবে না’।
মঞ্চ থেকে নামার পরও এই নিয়ে মহুয়া দেবীকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলেন, ‘যা বলেছি ভেবেই বলেছি।’ মহুয়া গোপের মন্তব্যকে তৃণমূল সমর্থন করে না বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের জনৈক মুখপাত্র। পালটা বিজেপির দাবি, ঠিক মতো পঞ্চায়েত ভোট হলে উত্তরবঙ্গে তৃণমূল ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে। সেটা বুঝেই নিজের জেলায় পায়ের তলায় মাটি ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন মহুয়াদেবী। উনি কোনও বুথ বা অঞ্চল সভাপতি নন। দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশ না থাকলে কী করে উনি একথা বলেন?