শুরুটা হয়েছিল আইপ্যাকের টিমকে হোটেল–বন্দি করার মধ্য দিয়ে। তারপর আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত, সুবল ভৌমিক–সহ আরও অনেকের উপর আক্রমণ নেমে এসেছে। এমনকী তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বের উপর হামলা করা হয়েছে। এবার তারই প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে তৃণমূল কংগ্রেস। অভিনব প্রতিবাদ শুরু করেছে হাওড়ার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। গঙ্গায় কোমর জলে নেমে ত্রিপুরা কাণ্ডের প্রতিবাদ করলেন তাঁরা!
আজ, মঙ্গলবার হাওড়ার রামকেষ্টপুর ঘাটে এক কোমর জলে বসে প্রতিবাদ করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। তাঁদের বক্তব্য, রাস্তা আটকে যানজট তৈরি করে সাধারণ মানুষের সমস্যা তৈরি করতে চান না তাঁরা। তাই নিজেদের প্রতিবাদ কর্মসূচি জারি রাখতে গঙ্গাকে বেছে নিয়েছেন। সেখানে প্রতিবাদ জানিয়ে শিবপুর কেন্দ্র তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুপ্রভাত মশাট বলেন, ‘আজ অর্ধেক জলে নেমেছি। তৃণমূল কংগ্রেস যেদিন ত্রিপুরা জয় করবে সেদিন আমরা গঙ্গায় মাথা ডুবিয়ে স্নান করব।’
উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত–সহ একাধিক যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেখানে লাঠি, রড দিয়ে তাঁদের উপরে হামলা করা হয়। ভেঙে দেওয়া হয় গাড়ির কাচ। আহত হন সুদীপ রাহা। পরের দিনই ত্রিপুরা যান অভিষেক। গ্রেফতার হওয়া নেতাদের মুক্ত করে নিয়ে আসেন কলকাতা। তারপর বিজেপিকে নিশানা করে টুইটে অভিষেক লেখেন, ‘প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমার রক্তের শেষ বিন্দু পর্যন্ত লড়াই করব। বিপ্লব দেব পারলে আমায় আটকান।’
ত্রিপুরা কাণ্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে এই হামলা হয়েছে। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর এত সাহস হবে না। যদিও গোটা ত্রিপুরার ঘটনাকে নাটক এবং সাজানো বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এমনকী তাঁদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।