কেউ মাঝরাত থেকে, কেউ আবার ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়ানোর পর বলা হয় করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ বুধবার দেওয়া হবে না। এরপরই ক্ষোভ আছড়ে পড়ে সোদপুরে। সোদপুর মধ্যমগ্রাম রোড অবরোধ করেও তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। প্রায় ৪০ মিনিট অবরোধ চলে। পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবারও ভ্যাকসিন পাওয়াকে কেন্দ্র করে তুমুল বিশৃঙ্খলা হয়েছিল পানিহাটি, সোদপুর এলাকায়। এরপর পরিস্থিতি কোনওরকমে স্বাভাবিক হয়। বুধবার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এদিনও ভোরবেলা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন বাসিন্দারা। প্রচুর বয়স্ক মানুষও এই লাইনে ছিলেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেলা বাড়তেই ঘোষণা করা হয় এদিন ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে না। এরপরই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন তীব্র বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতর তাদের কোনওরকম সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ। এরপর ক্ষোভের পারদ চড়তে থাকে ক্রমশ। সরকারি অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে সোদপুর- মধ্যমগ্রাম রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে অবরোধ চলে। অবশেষে খড়দা থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রচণ্ড গরমের মধ্যে ভ্যাকসিনের জন্য লাইনে দাঁড়াচ্ছেন অনেকেই। সেই লাইনেও দূরত্ববিধির কোনও বালাই নেই। সেই লাইন থেকেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভ্যাকসিনের লাইনে দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছেন বাসিন্দারা। কিন্তু সেখানেও চরম ভোগান্তির অভিযোগ। তবে গোটা ঘটনায় মুখ খুলতে চায়নি কর্তৃপক্ষ