অনলাইন ক্লাস চালাকালীন তফশিলি পড়ুয়াদের কদর্ষ্য ভাষায় তাঁদের গালাগালি করছেন এক অধ্যাপিকা। ঘটনাটি প্রখ্যাত প্রতিষ্ঠান আইআইটি ঘড়গপুরের। আর এরপরই বয়ে যায় বিতর্কের ঝড়। সম্প্রতি ফেসবুকের 'আইআইটি খড়গপুর কনফেশনস' পেজে ভাইরাল হয় একটি ভিডিয়ো। তাতে দেখা যায় এক অধ্যাপিকা রেগে গিয়ে গালাগালি করছেন পড়ুয়াদের। আর এরপর সেই অধ্যাপিকার পদত্যাগ চেয়ে সরব হন প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন থেকে বর্তমান ছাত্ররা।
এই ঘটনা নিয়ে বিতর্ক বাড়তেই অভিযুক্ত অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইআইটি খড়গপুর কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রার তমাল নাথ বলেন, 'আমাদের নজরে এই ঘটনাটি এসেছে। আমরা এই অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে তা নিয়ে পর্যালোচনা করছি। আমাদের প্রতিষ্ঠান এরকম কোনও ব্যবহারকে সমর্থন করে না। সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হবে।'
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত অধ্যাপিকা কলা এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগের। তাঁর নাম সীমা সিং। তিনি একটি প্রস্তুতিমূলক ক্লাস নেওয়ার সময় এই ব্যবহার করেন যা নিয়ে বিতর্কের ঝড় বইছে। তবে এই অভিযোগের বিষয়ে তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর বীরেন্দ্র কুমার তিওয়ারিও এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মুখ খুলতে চাননি। যদিও পরে জানা যায়, ডিরেক্টর সংশ্লিষ্ট ছাত্রদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন।
যদিও ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি হিন্দুস্তান টাইমস। প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তারা সরাসরি কিছু বলতে অস্বীকার করেন। তবে ছাত্রদের ফেসবুক পেজে ভিডিয়োটি শেয়ার করে লেখা হয়েছে, 'অধ্যাপিকা ক্লাসে বাড়াবাড়ি করেছেন। তাঁর মন্তব্যে শুধু পড়ুয়ারা নয়, তাদের মা-বাবারাও অপমানিত হয়েছেন।'
তবে জানা গিয়েছে, অধ্যাপিকা মনে করেছিলেন যে জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় কয়েকজন পড়ুয়া উঠে দাঁড়ায়নি। তাই তিনি রেগে গিয়েছিলেন। এরপর সেই ভিডিয়োতে দেখা যায়, অধ্যাপিকাকে পড়ুয়াদের ভয় দেখিয়ে বলছেন যে তাদের মা-বাবাকে তাদের আচরণের বিষয়ে বলে দেবেন।