বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ কেন?‌ কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের

একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ কেন?‌ কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের

১০০ দিনের কাজ

কলকাতা হাইকোর্ট একশো দিনের টাকা বন্ধ নিয়ে স্পষ্ট বলেছে, কেন্দ্রকে গোটা বিষয়টা সঠিকভাবে তদন্ত করে দেখতে হবে। প্রকল্পের সঙ্গে যুক্তরা যাতে বঞ্চিত না হন তাও নরেন্দ্র মোদী সরকারকে নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ১০০ দিনের কাজ আসলে গ্রামীণ জনগণের কর্মসংস্থানের বিষয়। রিপোর্ট পেশ করা হোক। 

গত দু’‌বছর ধরে বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া বন্ধ রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–মন্ত্রীরা বারবার সোচ্চার হয়েছেন। কিন্তু একটি টাকাও ঠেকায়নি মোদী সরকার বলে অভিযোগ। এই ইস্যুকে সামনে রেখে এখন রাজ্য–রাজনীতি সরগরম। তার মধ্যেই একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানির পরে আজ, মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট টাকা বন্ধের কারণ জানতে চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করল। আর তার জেরে এই ইস্যুর পারদ আরও চড়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ কলকাতা হাইকোর্ট একশো দিনের টাকা বন্ধ নিয়ে স্পষ্ট বলেছে, কেন্দ্রকে গোটা বিষয়টা সঠিকভাবে তদন্ত করে দেখতে হবে। এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্তরা যাতে বঞ্চিত না হন তাও নরেন্দ্র মোদী সরকারকে নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ১০০ দিনের কাজ আসলে গ্রামীণ জনগণের কর্মসংস্থানের বিষয়। তাই রিপোর্ট পেশ করা হোক। এই একশো দিনের কাজ নিয়ে দীর্ঘদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরব। নবান্নের বক্তব্য, কোথাও যদি অনিয়ম হয় তার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিক কেন্দ্র। কিন্তু সবার টাকা আটকে রাখবে কেন? এবার আদালতের নির্দেশে চাপে পড়ল কেন্দ্র বলে মনে করা হচ্ছে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে একাধিকবার নথি জমা দিয়েছে নবান্ন। রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। দেখা করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীর সঙ্গে। বারবার বলা সত্ত্বেও এক টাকাও আসেনি। তবে আজ সময় বেঁধে দিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট বলেছে, ২০ জুনের মধ্যে কেন্দ্রকে এই বিষয়ে রিপোর্ট দিতে হবে। তারপর আরও এক সপ্তাহ সময় পাবে রাজ্য সরকার। তাদের যদি কিছু বলার থাকে তাহলে ওই সময়ের মধ্যে নবান্ন সেটা জানাতে পারবে। আর জুলাই মাসে আবার এই মামলার শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টে।

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ এই টাকা বকেয়া রাখার জন্য রাস্তায় বসে ধরনা দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একশো দিনের কাজের টাকা দিল্লি থেকে ছিনিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হীরন্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চ বলেন, ‘‌রাজ্য সরকার যে রিপোর্ট দিয়েছিল কেন্দ্রকে, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক কী পদক্ষেপ করেছে সেটা জানাতে হবে।’‌ খেতমজুর কমিটি এই মামলা করেছিল কলকাতা হাইকোর্টে। রাজ্যের পক্ষ থেকে আজ বলা হয়, ২০২১ সাল থেকে মনরেগার টাকা বন্ধ করে রেখেছে নয়াদিল্লি। পাল্টা অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল বলেন, এই প্রকল্পের টাকা লুঠ হয়েছে। যদিও রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতিরা।

বন্ধ করুন