ভোটে জিতেছেন তিনি। কিন্তু মন্ত্রীত্ব পাননি। অনেকেই বলেন তা নিয়ে একটা মন খারাপ তো আছেই। কিন্তু এসবের মধ্যেই করোনা সতর্কতাবিধিকে আরও কড়াকড়িভাবে প্রয়োগের লক্ষ্যে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। এদিকে সেই বিধি প্রয়োগের আগের দিন শনিবার বাংলার বিভিন্ন এলাকায় সুরাপ্রেমীদের দীর্ঘ লাইন নজর কেড়েছে অনেকেরই। আর সেই দীর্ঘ লাইন চোখ এড়িয়ে যায়নি তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রেরও। শনিবার ফেসবুক লাইভে এসেও সেই প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। তবে দেশি বিদেশির কথা উল্লেখ করলেও একবার 'ম' যুক্ত ওই বিশেষ শব্দের কথা উল্লেখ করেননি তিনি। এই দীর্ঘ লাইন দেখে কিছুটা ক্ষুব্ধ বিধায়ক মদন মিত্র।
শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় মুচকি হেসে তিনি বলেন,' মানুষের খুব পছন্দের জিনিস। রাস্তা দিয়ে আসতে আসতে দেখলাম ব্ল্যাক হচ্ছে। ব্রিটিশের সময় বিদেশি বর্জন করেছিলাম। এখন অনেকে বিদেশি বর্জন করে দিশি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একশো টাকার দিশি এক দেড় হাজার টাকায় ব্ল্যাক হচ্ছে। লাভলি।' তিনি আরও বলেন, ‘একদিকে লাইন পড়েছে দোকানে। আর মানুষ লাইন দিচ্ছেন সেফ হোমে।’ তবে সুরাপ্রেমীদের এই লাইনকে যে তিনি একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না তারও ইঙ্গিত তিনি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাকে নিজেকে দেখে সন্দেহ হয় যে, আমি কোন দলে পড়ি। এটা ঠিক যে আমি মেনে নিতে পারছি না। যে লাইন দেখে এলাম, সত্যি ভাবছি মানুষ আর কুকুরের মধ্যে তফাৎটা কী?’ সেফ হোম খোলারও নানা দিক তুলে ধরেন তিনি। এর সঙ্গেই বেসরকারি নার্সিংহোমের কালোবাজারির বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, নার্সিংহোমগুলো এখন যে ব্য়বসা করছে গত ১০০ বছরেও এত ব্যবসা করেছে বলে আমার জানা নেই। যদি স্বাস্থ্যসাথী না থাকত তবে কী হত জানি না।