বেতন বকেয়া থাকলেও সব পড়ুয়াকে ক্লাস করতে দিতে হবে। বেসরকারি স্কুলগুলিকে এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলার কারণ দর্শিয়ে স্কুল বন্ধ রাখা যাবে না। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় কোনওরকমভাবে বাধা দেওয়া যাবে না বলেও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: কোনও পড়ুয়ার প্রোমোশন ও মার্কশিট আটকানো যাবে না, স্কুল ফি মামলায় রায় হাইকোর্টের
চলতি মাসের শুরুতে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, পড়ুয়াদের মার্কশিট আটকাতে পারবে না কোনও বেসরকারি স্কুল। সকল পড়ুয়াকে পরের ক্লাসে উত্তীর্ণ করতে হবে। গত ৬ এপ্রিল ১৪৫ টি বেসরকারি স্কুলকে নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, কোনও পড়ুয়ার মার্কশিট বা রিপোর্ট কার্ড আটকে রাখা যাবে না। তাঁদের পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করে দিতে হবে। স্কুল থেকে পড়ুয়াদের যে সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য, তাও প্রদান করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
কিন্তু সেই নির্দেশের পর দক্ষিণ কলকাতার একাধিক স্কুলের সামনে অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখান। সেই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলার কারণ দেখিয়ে কলকাতার দুই বেসরকারি স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়। একটি স্কুলের তরফে নোটিশ জারি করে জানানো হয়েছিল, যে পড়ুয়াদের বেতন বকেয়া আছে, তারা ক্লাস করতে পারবে না।
সেই পরিস্থিতিতে একটি জনস্বার্থ মামলায় হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, বেতন বকেয়া থাকলেও সব পড়ুয়াকে ক্লাস করতে দিতে হবে। হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় কোনওরকমভাবে বাধা দিতে পারবে না স্কুলগুলি।
আরও পড়ুন: ফি বৃদ্ধি নিয়ে অভিভাবকদের প্রতিবাদের মুখে বন্ধ কলকাতার ২ স্কুল, অনিশ্চিত পড়ুয়াদের ভবিষ্যত