মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে এএনআই)
বিধানসভায় সব বিধায়কদের উপস্থিত থাকার ফরমান জারি করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বারবার বলা হয়েছিল উপস্থিত থাকতে। তারপরও বিধানসভায় গরহাজির থাকলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকজন বিধায়ক। আর এই ফরমান না মানায় সেটা ভাল চোখে দেখেনি তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এবার অনুপস্থিত থাকা বিধায়কদের নামের তালিকা চেয়ে পাঠালেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে সূত্রের খবর।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? বৃহস্পতিবার বিধানসভায় হঠাৎই পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তিনি বিধানসভায় যান। আর তখনই তাঁর নজরে পড়ে বিধানসভায় বিধায়কদের উপস্থিতির সংখ্যা নগণ্য। আর এই বিষয়টি নজরে আসতেই এবার পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে থেকে অনুপস্থিত থাকা বিধায়কদের তালিকা চাইলেন তিনি। এই তালিকা হাতে পাওয়ার পর গরহাজির বিধায়কদের তলব করবেন তিনি এবং উপযুক্ত কারণ দেখাতে না পারলে ধমক পর্যন্ত জুটতে পারে বলে সূত্রের খবর।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই অনেকেই এখন টেনশনে ভুগছেন। অনুপস্থিত বিধায়করা এখন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলেও জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যখন বিধানসভায় ঢোকেন, তখন তিনি দেখেন তাঁর দলের বেশ কয়েকজন বিধায়ক অনুপস্থিত। তারপরই রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে তালিকা চান অনুপস্থিতদের। একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিয়েছেন বিধানসভা চলাকালীন বিধায়করা যেন সবাই উপস্থিত থাকেন। সূত্রের খবর, বিধায়কদের অনুপস্থিত থাকার কারণও বিস্তারিত তথ্য তাঁদের কাছ থেকে জানতে চাইতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
কেন এমন কড়া নির্দেশ? গত ৬ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন ৯ মার্চ সব বিধায়কদের বিধানসভায় উপস্থিত থাকতে। সেখানে তাঁর কথা শোনা হয়নি। সেটা নিজে চোখে দেখে অসন্তুষ্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। পরিষদীয় রাজনীতিতে বিধানসভার অধিবেশনে উপস্থিত থাকার গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ সেখানে একদিকে সাধারণ মানুষের দাবি–দাওয়া নিয়ে আলোচনা হয়, আবার নানা বিলও পাশ করার ক্ষেত্রে ভোটাভুটিতে বিধায়কদের সংখ্যা লাগে। সেখানে এমন ঘটনা চাক্ষুষ করেই নামের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছেন তিনি।