বর্ষাবিদায়ের পর রাজ্যে ক্রমশ শীতের আমেজ বাড়লেও মাসের শেষে পশ্চিমবঙ্গের আকাশে ফের ঘনাতে পারে দুর্যোগ। নভেম্বরের শেষে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আঘাত হানতে পারে একটি ঘূর্ণিঝড়। যার জেরে উপকূলবর্তী ২ জেলা ছাড়াও দক্ষিণবঙ্গে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। মধ্যমেয়াদী আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমনই জানিয়েছে একটি সংস্থা।
পূর্বাভাস অনুসারে আগামী ১৩ নভেম্বর থাইল্যান্ড উপসাগর থেকে বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করবে একটি ঘূর্ণাবর্ত। যেটি আন্দামান সাগরে প্রবেশ করে ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করবে। প্রাথমিকভাবে পশ্চিম, উত্তর – পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে ঘূর্ণাবর্তটি। ১৬ নভেম্বরের মধ্যে সেটি ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিতে পারে।
১৮ নভেম্বর গতিমুখ পরিবর্তন করে পূর্ব, উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে থাকবে ঘূর্ণিঝড়টি। কিন্তু উপকূলের যত কাছে আসবে ততই কম হতে থাকবে তার গতি। ২২ বা ২৩ নভেম্বর সুন্দরবনে ভারত – বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে ভূভাগে প্রবেশ করবে। যার জেরে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ভূভাগে প্রবেশের আগে অনেকটাই দুর্বল হয়ে যাবে ঘূর্ণিঝড়টি।
আবহবিদরা জানাচ্ছেন, পুরী থেকে বরিশালের মধ্যে যে কোনও জায়গা দিয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে এই ঝড়। ঘূর্ণাবর্তটি বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করার পর এবিষয়ে আরও নির্দিষ্ট তথ্য দেওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন তাঁরা।