শুধু কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গে নয়, প্রতারণার জাল পুণেতেও বিস্তারের তোড়জোড় করা হয়েছিল। পুলিশি জেলায় এমনই জানালেন কসবা ভুয়ো করোনাভাইরাস টিকাকাণ্ডের মূল পাণ্ডা তথা ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেব। তাঁর দাবি, কোভিশিল্ডের ডোজ চেয়ে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়াকে (এসআইআই) চিঠি লিখেছিলেন। আপাতত সেই দাবির সত্যতা যাচাই করে দেখছে কলকাতা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল।
ইতিমধ্যে ভুয়ো করোনাভাইরাস টিকাকাণ্ডের আড়ালে বড় কোনও ষড়যন্ত্র আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করল কলকাতা পুলিশ। সেই দলে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি, প্রতারণা দমন-সহ লালবাজারের একাধিক বিভাগের ১০ জন আধিকারিক আছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, কীভাবে প্রতারণার জাল বুনেছিলেন, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভুয়ো টিকা প্রদানের পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে কলকাতা পুরনিগমের নামে ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা, আর্থিক প্রতারণার বিভিন্ন অভিযোগও উঠেছে। একটি অংশের দাবি, পুরনিগমের জমিতে কাজের বরাত পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে এক নির্মাণ সংস্থার থেকে বড় অঙ্কের টাকা তুলেছেন বলেও অভিযোগ। সেইসঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত রক্ষী রেখেছিলেন। ছিল বাতি লাগানো গাড়িও। পুলিশ সূত্রে খবর, দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠেছে, তা বিস্তারিতভাবে খতিয়ে দেখা হবে।
রবিবার কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার (ক্রাইম) মুরলীধর শর্মা জানান, দেবাঞ্জন এবং ভুয়ো টিকাকাণ্ডে ধৃত আরও তিনজনের বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারা-সহ (অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা) একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সেইসঙ্গে দেবাঞ্জনের সঙ্গে কাজ করেছেন, এমন কয়েকজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারইমধ্যে রবিবার সন্ধ্যায় দেবাঞ্জনকে সঙ্গে নিয়ে ইএম বাইপাস লাগোয়া মাদুরদহের বাড়িতে যায় পুলিশ। সেখানে তল্লাশি চালানো হয়।