এর আগে অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রায় ৫০ কোটি টাকা নগদ। আর গতকালই তাঁর নামের ভুয়ো সংস্থার নামে থাকা আটটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে ইডি। অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও। জানা গিয়েছে এই অ্যাকাউন্টগুলিতে রয়েছে ৮ কোটি টাকা। মনে করা হচ্ছে, এই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে বেআইনি লেনদেন করা হত বা ঘুষের টাকা পাচার করা হত। এই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে কীভাবে এবং কোথায় কোথায় লেনদেন হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইডি আগেই জানতে পেরেছিল যে ভুয়ো সংস্থা খুলে তার মাধ্যমে টাকা লেনদেন হত। এদিকে এই সংস্থাগুলি অর্পিতার নামে হলেও অভিনেত্রীর দাবি, তিনি এই সংস্থার কিছু জানেন না। এই আবহে পার্থর জামাই কল্যাণময়ের উপরও নজর রয়েছে ইডির। তবে কল্যাণময় নাকি বিদেশে রয়েছেন। কল্যাণময়কে বিদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে ফিরে আসতে বলেছে ইডি।
এর আগে ২১ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলা বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন ইডি কর্তারা। পাশাপাশি ১৫টি জায়গায় একযোগে চলে তল্লাশি। তল্লাশি চলে পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে। উদ্ধার হয়েছিল ২১ কোটি ৯০ লাখ নগদ টাকা। প্রায় ৫৪ লাখ টাকার বিদেশি মুদ্রা, সোনার গয়নাও উদ্ধার হয় সেই ফ্ল্যাট থেকে। এরপর থেকেই অর্পিতার একাধিক সম্পত্তিতে হানা দিতে শুরু করে ইডি।
এরপরই ২৭ জুলাই রবিবার বেলঘড়িয়ায় অর্পিতার ফ্ল্যাটে হানা দেন ইডি কর্তারা। এখান থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ছাপিয়ে যায় টালিগঞ্জের অঙ্ককেও। বেলঘড়িয়ার আবাসনে অর্পিতার নামে দুটি ফ্ল্যাট ছিল। তার একটি থেকে কিছুই উদ্ধার করতে পারেননি তদন্তকারীরা। অপর ফ্ল্যাটটি থেকে উদ্ধার হয় ছয় কেজি সোনা, প্রায় ২৮ কোটি টাকা নগদ। বেডরুমের পাশাপাশি ফ্ল্যাটের বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ টাকা, সোনার গয়না। ১ কেজি করে তিনটি সোনার বাট, আংটি, একাধিক মোটা হার, ছ’টি মোটা মোটা সোনার বালা, সহ একাধিক সোনার গয়নাও উদ্ধার করা হয়। মোট ৪ কোটি ৩১ লক্ষ টাকার সোনা উদ্ধার করা হয় এই ফ্ল্যাট থেকে।