এতদিন ধরে কি ঘুমিয়ে ছিলেন? বেআইনি কয়লা খাদান মামলায় এবার এভাবেই ইসিএলকে কার্যত ভর্ৎসনা করল কলকাতা হাইকোর্টে। পাশাপাশি আসানসোল -দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনারকে হাজিরার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। আগামী ১১ই নভেম্বর তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিকে বুধবার বেআইনি কয়লা খাদান মামলায় মুখবন্ধ খামে আদালতের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। অন্যদিকে রাজ্যের তরফেও এব্যাপারে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে বেআইনি কয়লা খাদান নিয়ে মামলা হয়েছিল। এরপর প্রায় ৮ বছর কেটে যেতে চলল। এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে রাজ্যকে একজন নোডাল অফিসার নিযুক্ত করতে বলা হয়েছিল। মূলত বেআইনীভাবে কয়লা পাচার সংক্রান্ত তদন্তে যাতে গতি আসে, পারস্পরিক সমণ্বয় রক্ষার জন্য নোডাল অফিসার নিয়োগের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সেই কাজ এখনও পর্যন্ত হয়নি বলে ইসিএলের তরফে জানানো হয়। তখনই কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল অসন্তোষ প্রকাশ করেন। আদালত জানিয়েছে, '২০১৩ সালে মামলা হয়েছে। একাধিক নির্দেশ হয়েছে। এতদিন কি ঘুমিয়ে ছিলেন? কেন এতদিন দৃষ্টি আকর্ষণ করেননি? হঠাৎ করে এতদিন পর এসে বলছেন একাধিক নির্দেশ পালন করা হয়নি। অতএব এখনই কলকাতা হাইকোর্টের তরফে কোনও না কোনও পদক্ষেপ নিতে হবে?' এভাবেই ইসিএলের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট।