নারদ মামলায় বুধবার আদালতে চার্জশিট পেশ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই চার্জশিটে পাঁচজনের নাম রয়েছে - ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও এসএমএইচ মির্জা। তবে নাম নেই শুভেন্দু অধিকারীর। আর এই বিষয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। চার্জশিট নিয়ে তাঁর প্রশ্ন, নারদ মামলার চার্জশিটে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম নেই কেন?
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের অভিযোগ, নারদ মামলায় চার্জশিট পেশে ইডি পক্ষপাতিত্ব করেছে। এদিকে শুভেন্দু অধিকারীর নাম নেই বলে কুণাল ঘোষ অভিযোগ করলেও এদিন আদালতে ইডির এই চার্জশিটে বলা হয়েছে, অপরূপা পোদ্দার, সৌগত রায়, মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী, কাকলি ঘোষ দস্তিদার-সহ একাধিক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যাবে তারা।
প্রসঙ্গত, নারদ মামলায় যাঁরা অভিযুক্ত, তাঁদের সবাইকেই গোপন ক্যামেরার সামনে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর ভিডিয়োও ছিলেন সেই ভিডিয়োতে। উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারী যখন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ, তখন তাঁর বিরুদ্ধে নারদ কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। পরে তিনি নন্দীগ্রাম থেকে জিতে বিধায়ক হন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় একাধিক দফতরের দায়িত্ব পান। কিন্তু এখন শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে। তাই শুভেন্দুর নাম চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন কুণাল ঘোষ।
কুণাল ঘোষের দাবি, সারদা কাণ্ডে অবিলম্বে শুভেন্দুকে গ্রেফতার করা হোক। পাশাপাশি নারদ কাণ্ডে শুভেন্দুকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে বলে দাবি তোলেন কুণাল। তাঁর দাবি, সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে শুভেন্দুর নাম উল্লেখ ছিল। সুদীপ্ত সেন নাকি যেদিন কলকাতা ছাড়েন, সেদিনও শুভেন্দু তাঁর থেকে টাকা নেন বলে অভিযোগ করেন কুণাল।
তাঁর দাবি, বিজেপি কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে নিজেদের ইচ্ছে মতো এবং প্রয়োজন মাফিক ব্যবহার করছে। একদিকে বিরোধীদের অপদস্ত করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করে। তবে বিজেপিতে যোগ দিলে রক্ষা করা হচ্ছে। এটা দ্বিচারিতা বলে কুণাল ঘোষের অভিযোগ। উল্লেখ্য, গত শনিবার ইডি নোটিস দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই প্রসঙ্গেও ওঠে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ।