SSKM হাসপাতাল নিয়ে মদন মিত্রের অভিযোগের পালটা জবাব দিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। শুক্রবার রাতে SSKM-এ রোগী ভর্তি করতে না পেরে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন মদন। তার জবাবে শনিবার চন্দ্রিমাদেবী বলেন, মদন মিত্রের রোগীর জন্য কোনও আলাদা সুবিধা থাকতে পারে না।
শুক্রবার রাতে সংকটজনক এক রোগীকে SSKM হাসপাতালে ভর্তি করাতে যান কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। কিন্তু ভেন্টিলেটর খালি না থাকায় রোগী ভর্তি করাতে পারেননি তিনি। এর পরই হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মদন। বলেন, হাসপাতালে দালালরাজ চলছে। আর চিকিৎসকরা অডিটোরিয়ামে বসে চা - বিস্কুট খাচ্ছেন। সিপিএমের সময় হলে ১ মিনিটে রোগী ভর্তি করে দিতাম। এমনকী SSKM হাসপাতাল বয়কটের ডাক দেন তিনি।
তার জবাবে শনিবার চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘ভেন্টিলেটরে রোগীকে রাখতে গেলে আগে থেকে নাম নথিভুক্ত করাতে হয়। সেই তালিকা অনুসারে রোগীরা সুযোগ পান। মদন মিত্র যে রোগী নিয়ে এসেছিলেন তাঁর নাম তালিকাভুক্ত ছিল না। রাত সওয়া ১২টা নাগাদ তিনি আমাকে ফোন করেন। কিন্তু তালিকায় নাম না থাকায় আমার কিছু করার ছিল না। কোনও রোগীকে ভেন্টিলেশন থেকে বার করে আরেকজনকে ভর্তি করা সম্ভব নয়। মদন মিত্র রোগী নিয়ে এসেছেন বলে তাঁকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া যায় না। হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাঁরা যথাযথ পদক্ষেপ করেছেন।’
বলে রাখি, একদা ছায়াসঙ্গী মদন মিত্রের সঙ্গে মমতার ঘনিষ্ঠতা কমতে থাকে সারদাকাণ্ডে জেলমুক্তির পর থেকে। সারদায় মদনের গ্রেফতারির পর সরব হয়েছিলেন মমতা। কিন্তু ২০১৬ সালে জেলবন্দি অবস্থায় কামারহাটি থেকে বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যান তিনি। এর পর জেল থেকে বেরোলেও মমতার পুরনো বৃত্তে তিনি আর ঢুকতে পারেননি। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বেসুরো গাইতে শুরু করেন মদন। প্রার্থীতালিকা প্রকাশ হলে দেখা যায় কামারহাটি থেকে শিকে ছিঁড়েছে তাঁর। জিতলেও মন্ত্রিসভায় আর ফিরতে পারেননি মদন।
মদন মিত্রের বাড়ি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরেই। একদা SSKM হাসপাতালের যাবতীয় নিয়ন্ত্রণ ছিল তাঁর হাতে। সেই SSKM-এ রোগী ভর্তি করতে না পারা মদনের কাছে অস্বস্তিকর তো বটেই। সঙ্গে চন্দ্রিমার প্রতিক্রিয়ায় স্পষ্ট, তৃণমূলে হয় তো মদনের আর হাতে গোনা দিন অবশিষ্ট রয়েছে।