নারদকাণ্ডে রাজ্যের ২ মন্ত্রী সহ ৪ নেতাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। হাই কোর্টে জামিন হলেও তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র কিন্তু আজই বাড়ি যাচ্ছেন না। চিকিৎসকদের পরামর্শমতো তাঁকে এখনও হাসপাতালেই থাকতে হচ্ছে। শারীরিক অবস্থার পর্যালোচনা করে তবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসকরা।
শুক্রবার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের গলায় ছোট টিউমার হয়েছে।তবে সেটি অপারেশন করার কোনও প্রয়োজন নেই।খুব তাড়াতাড়ি স্পিচ থেরাপি শুরু হবে। মদন মিত্রের ছেলে শুভরূপ মিত্র জানান, শুক্রবার বাবা বাড়ি ফিরছেন না।শনিবার মেডিক্যাল বোর্ড বসে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে এদিন অবশ্য হাই কোর্টের জামিন দেওয়ার প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি মদন মিত্রের ছেলে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই নির্বাচনের সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন মদন মিত্র।ভোটের দিন সন্ধ্যার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
গত ১৭ মে নারদকাণ্ডে রাজ্যের ২ মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, বিধায়ক মদন মিত্র ও রাজ্যের প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারের দিনই রাতে শ্বাসকষ্ট নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হন মদন মিত্র।সেই সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।পরেরদিন শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
তবে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অবশ্য প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারেই ছিলেন।হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই চার জনকে ঘর বন্দি করে রাখার নির্দেশ দেওয়ার পর ফিরহাদ হাকিম বাড়িতে চলে যান। কিন্তু তখন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বাকি ৩ জন। এরপরই হাসপাতালে চিকিৎসায় অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে শোভন চট্টোপাধ্যায় তাঁর গোলপার্কের বাড়িতে চলে যান। শোভনের পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে যান রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও। তবে মদন মিত্রও এখনও এসএসকেএমের উডবার্ন ব্লকেই এখনো ভর্তি রয়েছেন।