'আগামিকাল সাধারণ মানুষের জ্ঞাতার্থে একটি বিশেষ ঘোষণা, সময়- সকাল ১০ টা'- মঙ্গলবার রাত ১০ টা ২ মিনিটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক পেজ থেকে এমনই একটি পোস্ট ভেসে উঠল। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এমন একটা সময় বেছে নেওয়া হয়েছে, যে সময় কলকাতার এসপ্ল্যানেডে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সকাল ১০ টা নাগাদই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডরের হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড অংশ, জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো করিডরের তারাতলা থেকে মাঝেরহাট অংশ এবং নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো করিডরের নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন করবেন। সেই পরিস্থিতিতে বুধবার সকালে যে একটা আবহ তৈরি হবে, সেটা হল - মমতা বনাম মোদী।
কিন্তু কী বিশেষ ঘোষণা করবেন মমতা, তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে টুঁ শব্দ করা হয়নি। যদিও সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, মহিলাদের নিয়ে কোনও প্রকল্পের ঘোষণা করতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।কারণ সন্দেশখালির ঘটনার পরে প্রবল চাপে আছে তৃণমূল। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রীর মতো বিভিন্ন প্রকল্পের কারণে যে মহিলা ভোটব্যাঙ্ক টানতে সক্ষম হয়েছিল রাজ্যের শাসক দল, সন্দেশখালির ঘটনার পরে তাতে ধস নামতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
শুধু তাই নয়, বুধবারই বারাসতে সভা করতে চলেছেন মোদী। সেখানে সন্দেশখালির নির্যাতিতারা থাকতে পারেন। ফলে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে বিজেপি যে ঝড় তোলার চেষ্টা করছে, সেটা তৃণমূলের শীর্ষস্তরের নেতারাও ভালোভাবে জানেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, সেইসব পরিস্থিতি বিবেচনা করে মহিলাদের আস্থা ফিরে পেতে নয়া কোনও প্রকল্পের ঘোষণা করতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: PM Modi in Kolkata: দিদির শরীর কেমন? কলকাতায় এসে খোঁজ নিলেন মোদী, গেলেন রামকৃষ্ণ মঠের সভাপতিকে দেখতে
তবে সেইসবের মধ্যে একটা জিনিস কার্যত নিশ্চিত হয়ে গেল যে এসপ্ল্যানেড স্টেশনে মেট্রোর অনুষ্ঠানে আসছেন না মমতা। বুধবার সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটে সেই অনুষ্ঠান শুরু হবে। কলকাতা মেট্রো সূত্রে খবর, সেই অনুষ্ঠানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু তিনি যদি সকাল ১০ টা থেকে সেই বিশেষ ঘোষণার কাজে যুক্ত থাকেন, তখন মেট্রোর অনুষ্ঠানে তাঁর থাকার সম্ভাবনা কার্যত নেই বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। যদিও বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে নবান্নের তরফে কিছু জানানো হয়নি।