বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Mithun Chakraborty: দেবী দুর্গা মর্তে আসার সুযোগে মানুষের মনে পৌঁছতে চায় BJP, তুরুপের তাস মিঠুন

Mithun Chakraborty: দেবী দুর্গা মর্তে আসার সুযোগে মানুষের মনে পৌঁছতে চায় BJP, তুরুপের তাস মিঠুন

মিঠুন চক্রবর্তী

পুজোর সময় বিজেপির হয়ে জনসংযোগ করার বিষয়ে মিঠুনের সঙ্গে আলোচনা করেছে নেতৃত্ব। এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পুজোর সময় দলের হয়ে কাজ করতে সম্মত মিঠুন।

দুর্গাপুজোকে কাজে লাগিয়ে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা করছে গেরুয়া শিবির। এর জন্য মিঠুন চক্রবর্তীকে কাজে লাগাতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। জানা গিয়েছে, পুজোর সময় বিজেপির হয়ে জনসংযোগ করার বিষয়ে মিঠুনের সঙ্গে আলোচনা করেছে নেতৃত্ব। এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পুজোর সময় দলের হয়ে কাজ করতে সম্মত মিঠুন। এই আবহে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় মিঠুন চক্রবর্তীকে মুখ হিসেবে তুলে ধরে জনসংযোগ কর্মসূচি পালন করার ছক কষছে পদ্ম শিবির। এরপর আসন্ন পঞ্চায়েত এবং লোকসভা নির্বাচনেও তাঁকে প্রচারের কাজে নামানো হবে বলেও বিজেপি সূত্রের খবর।

এদিকে প্রথমে নিয়মরক্ষা করার জন্য পুজো করার কথা ভাবা হলেও আচমকাই সব পরিকল্পনা বদলে ফেলতে পারে বঙ্গ বিজেপি। তৃতীয়বারের মতো বঙ্গ বিজেপি দুর্গাপুজো করতে চলেছে এবছর। প্রাথমিক ভাবে জাঁকজমক ভাবে সেই পুজো করার কোনও পরিকল্পনা ছিল না সুকান্ত মজুমদারদের। তবে গত রবিবার কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের বৈঠকে পুজো নিয়ে আলোচনা হওয়ার সময় অনেকেই দাবি করেন, পুজো হোক বড় করে। ইজেডসিসি-তে বিজেপির আয়োজিত দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করাতে অমিত শাহ বা জেপি নড্ডাকে আনতে চাইছেন বঙ্গ বিজেপির একাংশ। এর আগে ২০২০ সালে যখন সল্টলেকে ইজেডসিসিতে প্রথমবার বিজেপি পুজোর আয়োজন করেছিল, তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভার্চুয়ালি সেই পুজোর উদ্বোধন করেছিলেন।

এদিকে তৃণমূলের নেতারা যেভাবে বিভিন্ন ক্লাবের সঙ্গে জড়িত, বিজেপি নেতাদের ক্ষেত্রে সেই কথাটা খাটে না। কলকাতার বিভিন্ন পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে তৃণমূলের তাবড় সব নেতাদের নাম। এক একটি পুজোর পরিচিতি শাসকদেল নেতার নামেই। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তৃণমূলের মতো বিজেপির নেতারা কি তাহলে জনসংযোগের কোনও চেষ্টা করবেন না? মূলত জনসংযোগের অভাবের কারণেই কোনও ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত নন বিজেপির বহু নেতা। তাই কোনও পুজোর থেকে আমন্ত্রণ পান না তাঁরা। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এনে পুজো উদ্বোধন করে সংবাদমাধ্যমে তা প্রচার তো করা যাবে, তবে তাতে জনসংযোগ বাড়বে কি? এই আবহে মিঠুনকে কাজে লাগাতে চাইছে গেরুয়া শিবির।

 

বন্ধ করুন