রাজ্যে বিধিনিষেধ জারি থাকার কারণে এখন বন্ধ রয়েছে স্কুল কলেজের পঠন পাঠন। চলছে অনলাইনে ক্লাস। দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকার ফলে অনেক পড়ুয়ায় পড়াশোনায় উৎসাহ হারাচ্ছে। বাড়ছে স্কুলছুটদের সংখ্যা। সেই কথা মাথায় রেখে পড়ুয়াদের পড়াশোনার স্রোতে ফেরাতে পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয় চালু করার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হচ্ছে পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয়।
সেই মর্মে ইতিমধ্যেই সমস্ত জেলাগুলিতে নির্দেশিকা জারি করেছে শিক্ষা দফতর। কী কী ব্যবস্থা শিক্ষালয়গুলিতে রাখা হবে সে সম্পর্কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ অনুযায়ী, পড়ুয়াদের ক্লাস হবে সকাল ১০টা থেকে বেলা তিনটে পর্যন্ত। যার মধ্যে দু'টি অর্ধে পাড়ায় শিক্ষালয়ে ক্লাস হবে। প্রথম অর্ধে ক্লাস হবে সকাল দশটা থেকে বারোটা পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় অর্ধে ক্লাস হবে দেড়টা থেকে তিনটে পর্যন্ত। অর্থাৎ মোট সাড়ে ৩ ঘণ্টার ক্লাস হবে। ২০ থেকে ২৫ জন পড়ুয়াকে নিয়ে ক্লাস চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পড়ুয়াদের শিক্ষালয়ে পাঠাতে গেলে কি কি সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে সে ব্যাপারে নির্দেশিকা অভিভাবকদের দিয়ে দেওয়া হবে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, সপ্তাহে ছ'দিন সোমবথেকে শনিবার পর্যন্ত ক্লাস হবে। আগে যেমন প্রার্থনা হবে তেমনই টিফিনের জন্যও সময় দেওয়া হবে।
এছাড়া, শিক্ষালয়গুলিতে অস্থায়ী শৌচালয়ের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও পাড়ায় শিক্ষালয় নিয়ে অনেক পড়ুয়ায় উৎসাহ হারাচ্ছে বলে মনে করছেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ। তবে শিক্ষা দফতরের কর্তাদের দাবি, পাড়ায় শিক্ষালয় নিয়ে ছাত্রছাত্রী থেকে অভিভাবকদের একাংশের উত্সাহ চোখে পড়ার মতো। বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডা অবশ্য বলেন, 'পড়ুয়াদের উত্সাহ আছে ঠিকই। তবে পাড়ার মাঠে না পড়িয়ে স্কুলের মাঠে পড়ানো উচিত' বলে তিনি মনে করেন।