কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মেলেনি বকেয়া ডিএ বা মহার্ঘভাতা। বরং পাল্টা মামলা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পুজো কমিটিগুলিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন এই বাড়তি অনুদান? রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই আজ, বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। আর রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের জনস্বার্থ মামলার আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করল কলকাতা হাইকোর্ট।
মামলাটি করেছেন কে বা কারা? আদালত সূত্রে খবর, এই মামলাটি করেছে আইনজীবীদের একটি সংগঠন। বুধবার এই জনস্বার্থ মামলার অনুমতিও দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। দ্রুত শুনানির আর্জিও জানানো হয়েছে। শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ, বুধবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজেশ ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে পুজো কমিটিগুলিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আগে ঠিক কী হয়েছিল? ২০২১ সালের দুর্গাপুজোয় ক্লাবগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছিল রাজ্য। এবার তা বেড়ে করা হয়েছে ৬০ হাজার। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো কমিটির বৈঠক থেকে এই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর্থিক অনুদান–সহ বিদ্যুৎ বিলে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তাও গতবারের থেকে এবার ১০ শতাংশ বেশি। এই অনুদান ঘোষণার পর থেকেই বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। কটাক্ষ করেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। এমনকী এই অর্থ ক্লাবগুলিকে না দিলে রাজ্যে কী কী উন্নতি করা যেত, তারও হিসাব তুলে ধরে বিজেপি।
কেন এই জনস্বার্থ মামলা? রাজ্য সরকার যে অনুদান ক্লাবগুলিকে দেবে বলে ঠিক করেছিল তাতে আনুমানিক খরচ হবে ২৫৮ কোটি টাকা। অথচ সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য মহার্ঘভাতা এখনও দেয়নি রাজ্য সরকার। তাই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবার দেখার শুনানি কোন দিকে গড়ায়। ইতিমধ্যেই একশ্রেণির মানুষ বলছেন বিজেপি দুর্গাপুজো করার বিরোধী। তাই অনুদান দিতে দিচ্ছে না। ক্লাবগুলিও একই কথা বলতে শুরু করেছে।