বিএড কলেজ পুনর্নবীকরণে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে এবং তাতেও নাম জড়িয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এই আবহে বিএড কলেজ দুর্নীতিতে সিবিআই এবং ইডি তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন অনিন্দ্যসুন্দর দাস নামক এক আইনজীবী। ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ টিচারস ট্রেনিং, এডুকেশন প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যুক্ত করা হয়েছে এই মামলায়। আগামী সপ্তাহে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মামলাকারী আইনজীবীর অভিযোগ, পার্থর হাত ধরে বিএড কলেজগুলিতে বাৎসরিক ২০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। অভিযোগ, কলেজ পুনর্নবীকরণের জন্য অতিরিক্ত ২ লাখ টাকা, বিষয়ভিত্তিক অতিরিক্ত ১৫ হাজার টাকা এবং শিক্ষক নিয়োগের জন্য ৩০ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে। অনিন্দ্যসুন্দরবাবুর দাবি, শিক্ষক সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এবং মদতে টাকা তুলতেন সজল সরকার, সজল কর এবং তপন বেরা নামে তিন ব্যক্তি। উল্লেখ্য, এই সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্থ ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। এই আবহে বিএড কলেজের এই দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও।
আগে রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএড ডিগ্রি করা যেত। পরে তৃণমূল ক্ষমতায় এলে শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য একটি পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করা হয়েছিল। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রায় ৬৩০টি কলেজ রয়েছে। অভিযোগ, বেসরকারি কলেজগুলি থেকে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা তোলা হত। বিষয়ভিত্তিক অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে ঘুষ নেওয়া হত বলে অভিযোগ মামলাকারীর।
এর আগে গত বুধবার আদালতে ইডি দাবি করেছিল, রাজ্যে বেসরকারি ফার্মাসি ও আইন কলেজের ছাড়পত্র দিতে মোটা টাকা আদায় করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই টাকা বিভিন্ন জায়গায় রাখা আছে। এবার বিএড কলেজ দুর্নীতিতেও উঠল পার্থর নাম। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে আরও এক মামলায় সিবিআই তদন্তে নামতে পারে মামলার গতিপ্রকৃতির ওপর নির্ভর করে।