দেবাংশু ভট্টাচার্য। তৃণমূলের মুখপাত্র। ফের বিস্ফোরক পোস্ট করলেন তিনি। সেখানে তিনি লিখেছেন, ডাকাত মোদী। ছ্যাচোর মোদী। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্রকে ট্যাগ করে তিনি লিখেছেন, আয়ুষ্মান ভারতে ও ভারতমালা প্রকল্পে যে অনিয়ম হয়েছে সেটা দেখা হোক।অন্যের দিকে কাদা ছোঁড়ার আগে এবার ওদের এনিয়ে আত্মনিরীক্ষণ করা দরকার। যেটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কাল বলেছিলেন।
এরপর তিনি লিখেছেন, মিস্টার মালব্য় আপনি একবার আপনার নিজের দিকে তাকান।
কিন্তু কেন এই বিস্ফোরক পোস্ট করলেন দেবাংশু?
আসলে বিজেপির আইটি সেলের নেতা অমিত মালব্য় এর আগে তৃণমূলকে বিঁধে পোস্ট করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন চোর ধরো চোর। মমতা চোর। এরপরই তিনি ক্য়াগ রিপোর্টের কিছু তথ্য় তুলে ধরেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছিলেন কম্প্রোটার অ্য়ান্ড অডিটর জেনারেল বিরাট অর্থনৈতিক অনিয়মের সন্ধান পেয়েছে। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকারের বিরুদ্ধে এই দুর্নীতির অভিযোগ করে সরব হয়েছিলেন অমিত মালব্য। এরপরই এনিয়ে পালটা সরব হলেন দেবাংশু। তিনি লিখেছিলেন টাকা কোথায় গেল?এমনকী এমার্জেন্সি ফান্ডের টাকার বিলও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকার জমা দেয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন অমিত মালব্য। তারই জবাব দিলেন দেবাংশু।
এদিকে সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে একে অপরের বিরুদ্ধে চলছে নানা দোষারোপ। এমনকী এই বঞ্চনার জবাব এবার ক্যাগের রিপোর্ট দিয়ে মোকাবিলা করতে চাইছে বিজেপি।
৩১ জানুয়ারি সংসদে এই বকেয়া সংক্রান্ত ব্যাপারে একটা বিশেষ ঘটনা হয় বলে খবর। আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে সেদিন সংসদে জাতীয় সঙ্গীত সবে শেষ হয়েছিল। সকলকে নমস্কার জানিয়ে ধীর পায়ে দরজার দিকে এগোচ্ছিলেন দ্রৌপদী মুর্মু।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঠিক পেছনের আসনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আচমকাই দেখা গিয়েছিল যে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে কিছু যেন বলছিলেন। পরে এব্যাপারে জানা গিয়েছিল। সেখানে দেখা যায় যে রাজ্য়ের যে বকেয়া কেন্দ্রের কাছে রয়েছে সেটা কবে মিলবে তা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আচমকাই তিনি এই প্রশ্ন করেছিলেন বলে খবর।
এদিকে সুদীপের প্রশ্ন শোনার পরে পেছন ফিরে তাকিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সুদীপের দাবি, প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বলেছিলেন সিএজি রিপোর্টটি আমি এখন পড়ছি। আপনারাও দেখে নিন।
আর অমিত মালব্যও সেই সিএজি রিপোর্টকে সামনে এনেই তুলোধোনা করেছিলেন তৃণমূলকে।