২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় ১২ লক্ষেরও বেশি ওএমআর শিট নষ্ট করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক দুর্নীতির মামলার তদন্ত ইতিমধ্যেই হাতে রয়েছে সিবিআই-এর। এই সব মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো ‘হেভিওয়েট’ ব্যক্তিত্ব গ্রেফতার হয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের হাতে। এই আবহে ফের এক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশে রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, কেন উত্তরপত্র নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে? এরপরই তিনি নির্দেশ দেন, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ওএমআর শিট নষ্টের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করবে সিবিআই। এই মামলায় এক মাসের মধ্যে সিবিআইকে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাই কোর্টের তরফে। বিচারপতি বলেন, ‘ওএমআর শিট নষ্টের বিষয়ে পর্ষদের ভূমিকা সন্দেহজনক ও ঢিলেঢালা, সাংবিধানিক সংস্থার কাছে এই ভূমিকা প্রত্যাশিত নয়।’ মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ১ নভেম্বর।
এর আগে প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায় সোমবার গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেন বিচারপিত গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাথমিকে ৩৯২৯টি শূন্যপদে অবিলম্বে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দেন তিনি। তাঁর নির্দেশ, মেধাতালিকায় মামলাকারীদের স্থান খতিয়ে দেখে তাদের নিয়োগ দিতে হবে। নিয়োগপক্রিয়া শেষ করে ১১ নভেম্বরের মধ্যে আদালতকে রিপোর্ট দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে।
এদিকে আজ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। মঙ্গলবার রাত ৮টার মধ্যে সিবিআই দফতরে যেতে বলা হয়েছে মানিককে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের আরও নির্দেশ, মানিকবাবু তদন্তে সাহায্য না করলে সিবিআই তাঁকে হেফাজতে নিতে পারে।