পেটের ভিতর পিত্তথলিতে তিনটে ফুটো। অসহ্য যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছিলেন কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা অভিনাশ কুণ্ডু। চিকিৎসকদের জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নতুন জীবন ফিরে পেলেন তিনি।
জানা গিয়েছে, পেটে অসহ্য যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছিলেন অভিনাশবাবু। প্রথমদিকে শহরের একটি মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অভিনাশবাবু। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকরা হাল ছেড়ে দেন। এরপর তাঁকে যোধপুর পার্কের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা হয়। চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন, অভিনাশবাবুর পিত্তথলিতে তিনটি ফুটো রয়েছে। পেটের ভিতর একটি অঙ্গের জিনিস অন্য অঙ্গে ঢুকে গিয়েছে। গলব্লাডারের ভিতর গ্যাস ঢুকে গিয়েছে। পিত্তনালি ক্ষয়ে যাওয়ার এই রোগ খুবই বিরল। চিকিৎসকদের মতে, অভিনাশবাবুর যা হয়েছে, তা ১০০ কোটির মধ্যে একজনের দেহে হয়। চিকিৎসার পরিভাষায় একে ‘টাইপ ফাইভ মিরিজ্জি সিন্ড্রোম’ বলা হয়।
এই রোগ থেকে সারিয়ে তুলতে চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। গ্যাস্ট্রো ইনটেস্টেনাল বিভাগের শল্য চিকিৎসক ডঃ শুদ্ধসত্ত্ব সেনের নেতৃত্বে জটিল অস্ত্রোপচার হয়। জানা যায়, দেড় ঘণ্টার এই অস্ত্রোপচারের প্রথমে পেটের ভিতরে থাকা অঙ্গগুলিকে পরিষ্কার করা হয়। এরপর ফুটো বোজানোর কাজ শুরু হয়। প্রথমে গলব্লাডারের কিছুটা অংশ নিয়ে একটি ফুটো স্টিচ করে ফেলা হয়। এরপর পেটের ভিতরে থাকা চর্বি নিয়ে পাকস্থলি ও খাদ্যনালির ফুটো বোজানো হয়। অস্ত্রোপচারের পর এখন সুস্থই আছেন অভিনাশবাবু।