কলকাতার উল্টোডাঙা এলাকায় একটি মোটর ট্রেনিং স্কুলে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে গতরাতে দেড় কোটি টাকা উদ্ধার করে ইডি কর্তারা। গেমিং অ্যাপ প্রতারণা কাণ্ডে অভিযুক্ত আমির খানের সূত্র ধরেই এই তল্লাশি চালিয়েছিলেন ইডি কর্তারা। জানা গিয়েছে, ভিআইপি মোটরকার ট্রেনিং স্কুল নামক সংস্থার অফিসে তল্লাশি চালিয়েছিলেন ইডি কর্তারা। এই মোটর ট্রেনিং স্কুলের মালিক উমেন আগরওয়াল। তিনি পলাতক। এই আবহে তাঁর ছেলে রুমেন আগরওয়ালকে আটক করে নিয়ে গিয়েছে ইডি।
জানা গিয়েছে, অনলাইন গেমিং অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন উমেন আগরওয়াল এবং সেখান থেকে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা করে টাকা জমিয়ে রাখা হত উল্টোডাঙার এই মোটরকার ট্রেনিং স্কুলে। জালিয়াতি কারবারকে আম জনতার চোখ থেকে আড়ালে রাখতে এই ট্রেনিং স্কুল চালানো হত। ইডি সূত্রে খবর, ওই অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে দেড় কোটি টাকা, একটি ল্যাপটপ সঙ্গে একাধিক নথিপত্র।
জানা গিয়েছে, মোটর ভেহিক্যাল ট্রেনিং স্কুলের পাশেই আরও একটি সংস্থা রয়েছে রুমেন আগরওয়ালের। সেই সংস্থারও ব্যাঙ্কের নথির ওপর নজর রয়েছে তদন্তকারীদের। এই আবহে উমেনের ছেলে রুমেনকে আপাতত জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। রুমেনও গোটা জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন বলে প্রাথমিক অনুমান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট তদন্তকারীদের।
এখনও পর্যন্ত ই–নাগেটস প্রতারণা কাণ্ডে ৩৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ফ্রিজ করেছে ইডি। নগদ প্রায় ১৮ কোটি ছাড়াও ১২ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা মূল্যের বিটকয়েন, আমির ও তার সহযোগীর অ্যাকাউন্টে থাকা ৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকাও ফ্রিজ করা হয়েছিল আর্থিক তছরূপ প্রতিরোধ আইনের আওতায়। এদিকে কলকাতা পুলিশও আমির খানের কোটি কোটি টাকা ফ্রিজ করেছে। গেমিং অ্যাপ কাণ্ডে ৩২ কোটি টাকা ফ্রিজ করেছে লালবাজার। দেশে ও বিদেশের প্রায় ১৬০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ছিল এই ৩২ কোটি টাকা।