এবার বিধানসভায় যেতে গিয়ে বাধা পেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যপালের প্রবেশের জন্য যে দরজাটি নির্দিষ্ট, সেটি বন্ধ ছিল। তাই ঘুরপথে শেষপর্যন্ত বিধানসভার ভেতরে পোঁছোন তিনি। গতকাল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে উপাচার্যের ঘর বন্ধ পান ধনখড়। এমনকী ঘরের চাবি কোথায় সেটাও কেউ বলতে পারেনি। দুই ক্ষেত্রেই রাজ্যপাল আগে থেকে জানিয়েই গিয়েছিলেন। তারপরেও জুটল উপেক্ষা।
এদিন দরজা বন্ধ দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ধনখড়। তিনি বলেন রাজ্যপালের পদকে যেভাবে অপমান করা হচ্ছে তা দেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের জন্য লজ্জা। পরে গেট নম্বর ৪ দিয়ে বিধানসভায় প্রবেশ করেন তিনি। সাংবাদিকদের তিনি বলেন যে জানিয়ে আসা সত্বেও রাজ্যপালের জন্য নির্দিষ্ট গেট নম্বর ৩ বন্ধ ছিল। বিধানসভা মুলতুবি থাকলেই সেক্রেটেরিয়েট বন্ধ থাকে না বলেও তিনি জানান। একই সঙ্গে ধনখড় বলেন যে এটা তাঁর অপমান নয়, রাজ্যের মানুষ ও সংবিধানকে হেয় করা।
বুধবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে বিধানসভায় আশার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন যে স্পিকারের তরফ থেকে মধ্যাহ্নভোজের আমন্ত্রণও পাঠানো হয়েছিল। তিনি রাজিও হয়েছিলেন বলে জানান ধনখড়। কিন্তু এর কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর বিশেষ সচিবের কাছে বার্তা আসে আমন্ত্রণ প্রত্যাহারের। বিধানসভার সচিব বৃহস্পতিবার উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলেও জানান।
মাত্র দেড় ঘণ্টার মধ্যে পুরো পরিস্থিতি কীভাবে বদলে গেল, এদিন সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ঘনখড়। স্পিকারকে চিঠি লিখে তিনি কৈফিয়ত চাইবেন বলেও জানিয়েছেন রাজ্যপাল। শাসক তৃণমূল তাঁকে কাজ করতে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রাজ্যপাল। কিন্তু তিনি বলেন যে এসত্ত্বেও গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক রীতি-নীতি মানার তিনি প্রচেষ্টা করবেন। কোনও পরিস্থিতিতেই তিনি দমে যাবেন না বলেও জানান রাজ্যপাল।
বিধানসভায় যে সব বিল পেশ হওয়ার কথা, সেগুলি নিয়ে রাজ্যপালের অনুমোদন আসেনি, এই অভিযোগ করে দু'দিনের জন্য অধিবেশন মুলতুবি করে দিয়েছিলেন স্পিকার। তবে এই অভিযোগ খণ্ডণ করা হয়েছে রাজভবনের তরফ থেকে।