ফেসবুকে মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জেরে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
গত ২৬ ডিসেম্বর ফেসবুকে নিজেকে ‘শেরা চিকনা’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে দাউদের জন্মদিন পালনে দেশের সবচেয়ে বিপজ্জনক নিখোঁজ দুষ্কৃতী ও কেকের ছবির সঙ্গে শুভেচ্ছা পোস্ট করে এক ব্যক্তি। পোস্টটিতে মুম্বইয়ে দাউদের পুরনো ঘাঁটি ‘ডোংরি’র উল্লেখও ছিল।
পরে ফেসবুক থেকে ওই প্রোফাইল সরিয়ে ফেলার দরুণ পোস্টটি আর দেখা যায়নি। তার আগে ফেসবুকের ওই পোস্টের সঙ্গে থাকা দাউদের জন্মদিন পালনের ভিডিয়ো নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এবং বেশ কয়েকটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করেন স্থানীয় সাংবাদিক মহসিন শেখ। তার জেরে ফোনে তাঁকে শাসায় শের চিকনা। তার বিরুদ্ধে গত শুক্রবার গোরেগাঁও থানায় অভিযোগ জানান ওই সাংবাদিক।
একাধিক হত্যা, তোলাবাজি, মাদক পাচার ও সন্ত্রাসবাদী ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে একদা মুম্বইবাসী দাউদ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে। ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণকাণ্ডের জন্য ২০০৩ সালে তাঁকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসেবে চিহ্নিত করে ভারত ও আমেরিকা। বর্তমানে পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন ৬৪ বছরের দাউদ, এমনই দাবি গোয়েন্দাদের।
সংবাদমাধ্যম আইএএনএস জানিয়েছে, ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে দিল্লিতে দাউদের ফোনে শেষবার আড়ি পাততে সফল হয়েছিল পুলিশ। মিনিট পনেরো দীর্ঘ সেই ফোনালাপ এসেছিল করাচির এক মোবাইল নম্বর থেকে। নম্বরটির উপর এর পর নজরদারি চালালেও আর কখনও তাতে শোনা যায়নি মাফিয়া ডনের কণ্ঠস্বর।
দিল্লি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, সেই ফোনে দাউদের গলার স্বর শুনে মনে হয়েছিল যে তিনি মদ্যপান করেছেন। কথোপকথনের মাঝে তাঁর কথা জড়িয়ে যেতে শোনা গিয়েছিল। তবে কথাবার্তায় কোনও অপরাধজগতের ছায়া ছিল না বলে দাবি পুলিশের।
এর আগে ২০১৪-১৫ সালে দাউদের বেশ কিছু টেলিফোন কথোপকথনের নাগাল পায় পুলিশ। জানা যায়, মুবাইতে জমি কেনার ব্যাপারে ঘনিষ্ঠ সহচর জাভেদের সঙ্গে তিনি আলোচনায় ব্যস্ত ছিলেন।